বিজয়ের কয়েকদিন আগে সম্পদ লুন্ঠনের জন্য ভারতের সৈনিকরা বাংলাদেশের প্রবেশ করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক।
তিনি বলেন,১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর এর বিজয় বাংলাদেশের জনগনের।এ দেশের সাধারণ মানুষ যুদ্ধ করে জীবন দিয়ে বিজয় লাভ করেছে। গতকাল বৃস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের এর উদ্যোগে ” বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিব্রতকর বক্তব্যের প্রতিবাদে নাগরিক সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, আমরা না খেয়ে ত্রিপুরা, মেঘালয় অবস্থান করে বাংলাদেশে এসে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
তিনি বলেন,ভারত বাংলাদেশে গণতন্ত্র চায় না।ভারত যদি গণতন্ত্র চাইত তাহলে ২০১৪ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনা কখনো ক্ষমতায় আসতে পারতো না। মমতা,প্রিয়াঙ্কা তাদেরও তলে তলে ব্যথা আপনারা কেন মোদিকে সমর্থন করেন? শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ফেরত পাঠান। যদি বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক এটা চান।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এই দেশকে যেভাবে শোষণ করা শুরু করেছিল তার ফলশ্রুতিতে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরে শেখ হাসিনার পতন হয়।সে পালাতে বাধ্য হয়।অন্তর্র্বতীকালীন সরকার হিসেবে ডঃ ইউনুস ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে শহীদ জিয়ার হত্যার সাথে আওয়ামী লীগ জড়িত মন্তব্য করে বিএনপি এই নেতা বলেন,আওয়ামী লীগ আর কখনো বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
অন্তর্র্ব্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বিরোধী দলের সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন,ডক্টর ইউনুস আপনাকে আমরা এখনো বিশ্বাস করি। বিশ্বাসের ঘরে আগুন লাগার জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। ড. ইউনুচকে বলবো আপনি জুলাই ২০২৫ না ২০২৬ নির্বাচনের নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হলে একটি নির্বাচিত সরকার গঠন করা জরুরি।
তিনি বলেন,আদালতকে ধন্যবাদ তারা জানতে চেয়েছে কিভাবে ওবায়দুল কাদের দেশ ত্যাগ করেছে। যারা আয়নাঘর বানিয়েছে মানুষকে নির্যাতন করেছে তারা কিভাবে দেশ ত্যাগ করে। সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন এর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন
লেবার পার্টির সভাপতি লায়ন ফারুক রহমান,জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান,বগুড়ার সাবেক এমপি নুর আফরোজ জ্যোতি।