ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি’র তৃণমূল পূর্ণগঠনে কাজ করছেন কুড়িগ্রামের কৃতি সন্তান আব্দুল খালেক। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তিনি কুড়িগ্রামের উলিপুরসহ বিভিন্ন উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সাংগঠনিক কর্মকা- গতিশীল করতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে দল পুর্ন:গঠনে কাজ করতে গিয়ে তিনি নানান অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে দলকে গতিশীল করতে আগ্রহী। চিলমারী উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হোসেন পাখী বলেন, গণ-অভ্যুত্থান পরিবর্তিত পরিস্থিতে দলকে চাঙা ও শক্তিশালী করতেই আব্দুল খালেক ভাই পথে প্রান্তরে ছুটে বেড়াচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, বিশৃঙ্খলা ঠেকানো ও বিতর্কিত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিএনপি পিছপা হবে না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ)আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে বিএনপি’র ৩১ দফার বার্তাই পৌঁছে দেয়া হচ্ছে তৃণমুলে। উলিপুর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সিনিয়র রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দীন মন্ডল বলেন, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীর মাঝে সর্বাধিক পরিচিত আব্দুল খালেক। তিনি আওয়ামী সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনামলে ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর বিএনপি’র নয়াপল্টনের কার্যালয় থেকে আটক হয়েছিলেন। এ সময় তাকে ৪৩ দিন কারাবাস করতে হয়। আওয়ামী লীগের চক্ষুশীল হওয়ায় তাকে নির্যাতন ও নিপীড়ন করা হয়। তবুও দমে যাননি আব্দুল খালেক। কারামুক্ত হয়ে রাজনৈতিক ভাবে বিপর্যস্ত দলকে সাংগঠনিকভাবে উজ্জীবিত রাখেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার পথ প্রান্তরে চষে বেড়াচ্ছেন। বিএনপি’র নিবেদীত প্রাণ আব্দুল খালেক’র জন্ম কুড়িগ্রামে উলিপুর পৌরসভার রামদাস ধনিরাম আদর্শপাড়া এলাকায়। গুনাইগাছ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৯ সালে তিনি এসএসসি পাশ করেন। এরপর ঢাকা কলেজ’এ এইচএসসি শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্দাথ বিজ্ঞান ভর্তি হন। এ সময় তিনি বিএনপি’র ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদস্য নির্বাচিত হন। পরে বিশ্ব বিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের আহ্বায়ক ও পরে সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর বিগত সময়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি পদে থেকে দলকে সুসংগঠিত করেন। দলের জন্য অন্ত:প্রাণ আব্দুল খালেক’কে অসামাণ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক পদের দায়িত্ব দেয়া হয়। একই সাথে আব্দুল খালেককে রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদেরও অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। ইতোমধ্যে তিনি একজন দক্ষ সাংগঠনিক ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসাবে কুড়িগ্রাম জেলা তথা রংপুর বিভাগে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান জানান, আব্দুল খালেক কুড়িগ্রামের বিএনপি- কে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে সর্বাত্মকভাবে কাজ করছেন। যার নেতৃত্বে আজ প্রবীণ ও তরুনেরা এক হয়ে দলকে সুসংগঠিত করার জন্য জীবনকে বাজী রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ একটি স্বার্থান্বেষী মহল অঙ্গসংগঠনের কমিটি প্রসঙ্গে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।