গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সাদপš’ীদের মধ্যরাতে পরিকল্পিত নৃশংস্য হামলা ও কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বাসিন্দা তাবলীগের সাথী ট্রাফিক সার্জেন্ট আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ সকল শাহাদাৎ বরণকারী হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদ চত্বরে সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার আয়োজনে বিশাল প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন জামিয়ার মহাপরিচালক ও শহীদী মসজিদের মুতাওয়াল্লী মাও শাব্বির আহমেদ রশিদ। মিছিলটি ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা মারকাজ মসজিদে গিয়ে শেষ হয়। পরে নিহত শহীদদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সাদ পš’ীদের হামলায় নিহত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার আমিনুল ইসলাম বাচ্চুকে জেলা মারকাজ গোরস্থানে দাফন করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কিশোরগঞ্জ ইমাম উলামা পরিষদের সভাপতি মাও শফিকুর রহমান জালালাবাদী,সাধারণ সম্পাদক মাও আবুল বাশার, জামিয়ার মুহাদ্দিস মাও ইমদাদুল্লাহ, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাও রমজান আলী,ইসলামি আন্দোলনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক আলমগীর হুসাইন তালুকদার, বড়বাজার মসজিদের ইমাম মাও শুয়াইব বিন আব্দুর রউফ, জেলা মারকাযের ডা: সজিবুল ইসলাম, মাও আব্দুল্লাহ আল ফারুক, মাও রুহুল আমিন, মহিনন্দ ভাস্করখিলা মিছবাহুল উলুম কওমী মাদরাসার মুহতামীম মাও আশরাফ আলী, মাও মুহাম্মদ উল্লাহ জামী, মাও আবু হানিফ, মাও উবায়দুল্লাহ, মাও সিরাজুল হুদা, মাও আব্দুর রহিম প্রমুখ। এ সময় নিহতের বড় ছেলে শাহরিয়ার আলম চোখের পানি মুছতে মুছতে পিতার জন্য দোয়া চান, সমাবেশ স্থলে উপস্থ’ত তৌহিদী জনতাও এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন। আমিনুল ইসলাম পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের খামা গ্রামের মৃত উছমান আলীর ছেলে। তাঁর মৃত্যুতে জেলার আলেম উলামা ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে সাদ পš’ীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।