আজকের তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ; তাই তারুণ্য নির্ভর ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশ গড়তে যুব সমাজকে ময়দানে অকূতোভয় সৈনিকের ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরস্থ বসিলা কমিউনিটি সেন্টারে মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানা জামায়াত আয়োজিত ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদ্য বিদায়ী ও সাবেক সাথী সদস্যদের নিয়ে প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর মুহাম্মদ মাসুদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোঃ রবিউল ইসলাম রুবেলের পরিচালনায় প্রীতি সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত। উপস্থিত ছিলেন জোনের টিম সদস্য প্রিন্সিপাল সিরাজুল ইসলাম, থানা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী, মোঃ রুহুল আমিন, মোঃ আশরাফুল আলম, মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মোঃ সাইফুর রহমান, মোঃ তাইয়্যেবুর রহমান, মুফতি মারুফ বিল্লাহ ও আলী আহমেদ মজুমদার প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, ছাত্র আন্দোলনই ইসলামী আন্দোলনের বীজতলা। মূলত, ছাত্র আন্দোলনকেই মূল আন্দোলনের ‘পাওয়ার হাউস’ বলা হয়ে থাকে। বীজতলা যত সমৃদ্ধ ও উর্বর হবে উৎপাদনও ততই গতিশীল ও সমৃদ্ধ হবে। তাই ইসলামী আন্দোলনকে মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে হলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনকেই প্রাণবন্ত ও কার্যকারী করে তুলবে হবে। ইসলামের দাওয়াত প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছানোর জন্য দেশের তরুণ সমাজকেই প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছতে হবে। মানুষের সমস্যার চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। মূলত, তারুণ্য নির্ভর দাওয়াতি কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে পারলেই আগামী দিনে ইসলামের বিজয় অনিবার্য হয়ে উঠবে। তিনি একবিংশ শতাব্দীর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন প্রজন্মকে প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনে অবসর গ্রহণের কোন সুযোগ নেই বরং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানো প্রত্যেকের জন্যই অত্যাবশ্যকীয় কর্তব্য। সকল নবী-রাসূলগণকেই আল্লাহ তা’য়ালা এই দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছিলেন। বিশ্বনবী (সা.)ও একই দায়িত্ব নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর আসহাবগণও ইকামাতে দ্বীনের মিশন নিয়ে কাজ করে গেছেন। সে ধারাবাহিকতায় তা এখন আমাদের ওপর অত্যাবশ্যকীয় হয়ে গেছে। তাই কারো পক্ষেই এই আন্দোলন থেকে পিছপা হওয়ার সুযোগ নেই বরং জীবনের শেষ মহুর্ত পর্যন্ত সকলকে দ্বীনে হক প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অবিচল ও আপোষহীন থাকতে হবে। তিনি দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে নতুন প্রজন্মকে যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।