মাঝ আকাশে যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে সেনা হেলিকপ্টারের ধাক্কা, ওয়াশিংটনে ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। আর সেই আবহে মুখ খুললেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের অনতিদূরে, পোটোম্যাক নদীতে দু’টুকরো হয়ে ভেঙে পড়েছে বিমানটি। উল্টো হয়ে নদীতে পড়েছে সেনার কপ্টারটিও। বিমানে ৬৪ জন এবং কপ্টারে চার যাত্রী ছিলেন এমন তথ্য এসেছে। সেই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘একেবারে সঠিক পথে এগোচ্ছিল বিমানটি। বিমানবন্দরে নামার রাস্তা ধরেই এগোচ্ছিল। অনেকটা সময় ধরে সটান বিমানটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল হেলিকপ্টারটিই। রাতের আকাশ পরিষ্কার ছিল। জ্বলজ্বল করছিল বিমানের আলো। হেলিকপ্টারটি উপরে উঠে গেল না কেন, নীচেই বা নেমে গেল না কেন? বিমানটিকে দেখতে পাচ্ছে কি না জানতে চেয়ে কেন কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে হেলিকপ্টারটিকে নির্দেশ দেয়া হলো না’? সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথে এমন লিখেছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজ থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে এমন ঘটনায় ষড়যন্ত্রের শঙ্কা মার্কিন প্রেসিডেন্টের। তার কথায়, ‘খুব খারাপ অবস্থা। দেখে মনে হচ্ছে এটা আটকানো যেত। ঠিক হয়নি’। সেনার কন্ট্রোল টাওয়ারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প।
৬৪ জন যাত্রী নিয়ে ওয়াশিংটনের রোনাল্ড রিগান বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ে চপারে ধাক্কা খায় আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ৫৩৪২ বিমান। চপারের সঙ্গে বিমানটিও পোটোম্যাক নদীতে ভেঙে পড়েছে। উল্টো দিক থেকে সেনার চপারটি একই উচ্চতায় চলে এসেছিল বলেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকার সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, চপারে পাইলট-সহ তিন জন ছিলেন। তাদের প্রশিক্ষণ চলছিল। এ পর্যন্ত ১৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজকে নিশ্চিত করেছে পুলিশ কর্মকর্তা। বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। সূত্র : এনডিটিভি