ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের হরতাল কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, হরতালের ডাক দিলেন। আর মানুষ লাফ দিয়ে পড়বে- এমনটা হবে না। বরং মানুষ আপনাদের শাস্তির জন্য অপেক্ষা করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে আমরা বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে প্রতিবন্ধী রিকশাচালক মামুনের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জুলাই বিপ্লবে নিহত-আহতরা বিচার চায়। শেখ হাসিনার কাছে নারী ও শিশুর কোনো মূল্য নেই, একটাই মূল্য সিংহাসন। তিনি কতজনকে সন্তানহারা করেছে তার হদিস নেই। গুলি ছিল শেখ হাসিনার কাছে একটা খেলা। ক্রসফায়ার ছিল আনন্দের বিষয়। বিরোধী পক্ষের লাশ দেখলে খুশি হতেন হাসিনা। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ এক নারী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন প্রমুখ।
প্রতারক ক্ষমতায় থাকলে তার সন্তানরাও প্রতারক হয়, যেমন জয়-পুতুল’: ‘প্রতারক যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে, তখন তার সন্তানরাও প্রতারক হয়’ মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘তার উদাহরণ পুতুলের নামে সূচনা সংগঠন এবং জয়ের নামে বিনিময় সংগঠনের কোনো অস্তিত্ব পায়নি দুদক। অথচ এই সংগঠনের নামে শত শত টাকা বরাদ্দ নিয়ে লুটপাট করেছে জয়-পুতুল।’ গতকালবৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রশাসনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজের মতো সাজিয়ে নিয়েছিল রাষ্ট্র ক্ষমতার জোরে। কই? এখন সামাজিক সংঘাতে কত মানুষ মারা যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এটা দমনে তো কোনো ভূমিকা দেখি না। অপরাধীদের তো গ্রেফতার করে না। অথচ এই পার্টি অফিস (বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়) থেকে একটা মিছিল বের হলে, মৌমাছির মতো ঘিরে ফেলতো। বিরোধী নেতাকর্মীরা যদি ধান ক্ষেতে, বাঁশ ঝাড়ে বসে লুকিয়ে থাকতো, সেখান থেকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়ে যেত। আজ যারা সমাজের অপরাধী তাদেরকে গ্রেফতার করে সমাজের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা হচ্ছে না। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ শত মানুষকে হত্যা করেছে, তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক। তাদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? কারা এই অপরাধীদের রেহাই দিচ্ছে, তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করে রাখছি। এদের বিচার করলে শহীদ পরিবারে রাগ কিছুটা শীতল হতো। বরং আমরা কী দেখছি! মামলার নামে যে বাদি সে বিএনপির আরেক কর্মীর নামে মামলা করছেন, এই চক্রান্ত প্রায় জায়গায় হচ্ছে। কারা এই কাজগুলো করছেন, সেটা আমরা জানি।’ শেখ হাসিনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সে শিশু হত্যা করতে পারে। তার পরিবারের দুর্নীতি তো এখন সবার জানা। ভাগ্নি-ভাগ্নের নামে প্লট। শুনলাম আওয়ামী লীগ নাকি মাঠে নামার কর্মসূচি দিয়েছে। জানি না। হয়তো প্রতিক্রিয়া জানার জন্য। তিনি আবার ক্ষমতা ফিরে পেতে চান। ছাই থেকে জন্ম নিতে চায়। এত সাহস পায় কই থেকে?’ এগুলো সরকারকে পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানান রিজভী।