শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ অপরাহ্ন

আইসোলেশন বিভাগ থেকে সম্ভাব্য করোনা রোগীর পলায়ন

পাবনা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২০

পাবনা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শরীরে ব্যাথা নিয়ে মোস্তাক আল মামুন (২৫) নামে ভর্তি হওয়া এক রোগী পালিয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার পালিয়ে গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাবনা সদর থানায় জিডি করে গতকাল বুধবার। পাবনা সদর থানার জিডি নং-৩৯৬, তাং-০৮-০৪-২০২০ইং।
পাবনা সদর হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ আবুল হোসেন জানান, মামুন গত মঙ্গলবার সবার চোখ ফাকি দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা ব্যাপক খোজা খুজি করে, না পেয়ে পাবনা সদর থানায় জিডি করি। তিনি এও জানান, মামুন পালিয়ে তার শশুর বাড়ি বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার দীঘলকান্তি গ্রামে অবস্থান করছেন।
মোস্তাক আল মামুন দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মোঃ আনিসুর রহমানের ছেলে। সে পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার দীঘলকান্তি পশ্চিম পাড়ার শফিক প্রাং এর মেয়ে রাবেয়া পারভীন এর স্বামী । মামুনের স্ত্রী রাবেয়ার শরীরে একই উপসর্গ রয়েছে। মামুন তার শশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে অসুস্থ্য হয়। রাবেয়া পারভীনের ভাই সিঙ্গাপুর প্রবাসী। আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মঈনউদ্দিন জানান, বাড়িটি লক ডাউন করা আছে। এদিকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সরদার মিলন মাহমুদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা মাুমনের শশুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে তার স্ত্রীর রাবেয়া পারভীনের শরীরে কোন উপসর্গ ছিল না তাই নমুনা সংগ্রহ করা হয় নাই। মোস্তাক আল মামুন (২৫)কে ধরতে পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে। আরো জানা যায়, ৩বছর পুর্বে ভালবাসার সম্পর্ক ধরে রাবেয়া পারভীনের সাথে মোস্তাক আল মামুনের বিয়ে হয়। সর্বশেষ গত ২মাস পুর্বে রাবেয়া রাগ করে দিনাজপুরের শশুর বাড়ি থেকে পাবনার আমিনপুর নিজ বাড়িতে চলে আসে। গত ১/২ এপ্রিল রাবেয়ার স্বামী মোস্তাক আল মামুন স্ত্রীর রাগ ভাঙ্গাতে দিনাজপুর থেকে পাবনায় শশুর বাড়িতে আসে। সেখানে শশুড়ের সাথে জামাই মোস্তাক আল মামুনের বাকবিতন্ডা হলে থানা পুলিশ পর্যন্ত যায়। পুলিশ মোস্তাক আল মামুনকে গ্রেফতারের পর তার শরীরে প্রচন্ড জ্বর, গলা ব্যাথা ও শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়। পরে মামুনকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মামুনকে জামিন প্রদান করে চিকিৎসা দানের নির্দেশ দেন। পুলিশ ৬এপ্রিল সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর লক্ষন দেখে তাকে করোনা আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করে। এরপর গত ৭তারিখে সে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।

ই-খ/খবরপত্র




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com