চাল ও তেলের দাম বৃদ্ধিতে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেয়ার চেষ্ট করছে জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী। গতকাল রোববার (৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন সুযোগ না নেয়, সেজন্য জনমত সৃষ্টি করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা শক্ত অবস্থানে যাচ্ছি, বিভিন্ন বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্য তেলের ব্যাপারে আমরা অবজার্ভ করছি, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বেড়ে গেছে। সেজন্যই দামের প্রভাবটা আমাদের দেশে পড়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা বারবার তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কী পরিমাণ বাড়ছে এবং দেশের বাজারে কী পরিমাণ বাড়ছে, সেটা খেয়াল করা হচ্ছে। টিপু মুনশী আরও বলেন, যেটা আমাদের আমদানি করে চলতে হয়, সেটার জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর ভরসা করতেই হবে। কিন্তু এই সুযোগটা নিয়ে কেউ যেন অতিরিক্ত লাভবান না হতে পারে, সেটা আমরা দেখভাল করব।
চালের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যথেষ্ট মজুত না থাকায় দেশে চালের দাম বেড়েছে। সরকার খুব শক্ত একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা আমদানি করব। যদিও এটি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়, তারপরও আমি যতদূর জানি তারা আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টন করে তিনটি কনসাইনমেন্টের এলসি ওপেন করে দিয়েছে, আরও দুইটি ওপেন করবে। তিনি বলেন, সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি মনে করি সেক্ষেত্রে চালের দামটা কমবে। ধানের দাম কমেছে ১০০ টাকা। চালের দাম ৮০-৯০ টাকা কমেছে। গতকাল খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি- তিনি আমাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। সবদিক থেকেই সরকার চেষ্টা করছে।
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ৭ জানুয়ারি সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচি বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, চাল-ডালের দাম বেড়েছে, কিন্তু অনেক পণ্যের দাম কমেও গেছে। শাক-সবজি, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আছে। পেঁয়াজের দামও কমে আসছে। বিএনপি মূলত বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যত বেশি বেড়েছে, তার চেয়ে একটা পলিটিক্যাল প্রোগ্রাম দেয়ার জন্যই তারা দিয়েছে। আমরা সেটা লক্ষ করছি। পলিটিক্যাল পার্টি তো পলিটাক্যাল প্রোগ্রাম দেবেই।