মৌ মৌ গন্ধে চারদিক। নজর কাড়া সরিষার হলুদ ফুল। সরিষা ফুলের দৃশ্য পাল্টে দিয়েছে জামালপুর সদর, মেলান্দহ, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি, বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ফসলের মাঠে। শীতের শিশির ভেজা সকালে ঘন কুয়াশার মোড়ানো মাঠ দেখে মন জুড়িয়ে যায়।জামালপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় এ মৌসুমে ব্যাপক সরিষার চাষ করা হয়েছে। সরিষার সবুজ গাছের ফুলগুলো শীতের রোদে যেন ঝিকমিক করছে। দেখে যেন মনে হচ্ছে প্রকৃতি কন্যা সেজেছে গায়ে হলুদ বরণ সাজে। মৌমাছির গুনগুন শব্দে ফুলের রেণু থেকে মধু সংগ্রহ আর প্রজাপতির এক ফুল থেকে আরেক ফুলে পদার্পণ এ অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। সরেজমিনে ইসলামপুরের কৃষক এনামুল হক বলেন, সরিষা চাষে খরচ কম কিন্তু লাভটা বেশি হওয়ায় অনেকেই সরিষা চাষে করে। ক্ষেতে একবার সার প্রয়োগ করলে আর সার দিতে হয় না, তাই অন্য ফসল থেকে পরিশ্রম কম। তিনি আরো বলেন, সরিষাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারি ভাবে কিছু সহায়তা করলে এখানকার কৃষকরা আরো বেশি উপকৃত হতো।এ ব্যাপারে মেলান্দহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল আহাম্মেদ জানান, এবারে মেলান্দহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সরিষা চাষ হয়েছে। আরো বলেন, যথা সময়ে জমি চাষ হওয়ায় এলাকার কৃষকরা সুযোগ বুজে সরিষা চাষ করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনো প্রকার ক্ষতি না হলে মেলান্দহ উপজেলায় সরিষা আবাদের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, সরিষা চাষের জমিগুলো উর্বরতা বেশি থাকায় কৃষকরা এবার বোরো চাষেও এর ভালো সুফল পাচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা কৃষি বিভাগ কৃষককে প্রশিক্ষণ ও সঠিক পরামর্শ দিয়ে সাবলম্বী করার চেষ্টা করছি। ফলে অনেক কৃষক আমাদের পরামর্শে সাবলম্বী হয়েছে।