দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে কাশ্মীরি কুল ও সুন্দরী কুল চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন সাব্বির হোসেন। দেখতে অনেকটা মাঝারি সাইজের আপেলের মতো। রং আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। স্বাদ হালকা মিষ্টি, এর আগে আপেল কুল চাষ হলেও নতুন জাত কাশ্মীরি কুল বরইয়ের চাষ ঘোড়াঘাটে প্রথম।প্রচলিত আপেল কুল ও বাউকুলের থেকে আকারে বেশ বড় এই কাশ্মীরি কুল ও সুন্দরী কুল। নতুন এ জাতের বড়ই চাষ করে সফল হয়েছেন দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার শহর গাছি গ্রামের ফল চাষি সাব্বির হোসেন। সরেজমিনে ফল বাগানে গিয়ে দেখা যায়, মাটির সামান্য ওপর থেকেই সব কুল গাছের ডালপালা চারদিকে ছরিয়ে পরেছে। প্রতিটি ডালেপ্রচুর পরিমাণে কুল বরই ধরে মাটিতে নুয়ে পড়েছে, গাছের পাতার চেয়ে বরই বেশি। ফল চাষি সাব্বির হোসেন জানান, আগামী বছরে চুয়াডাঙ্গা থেকে ৩৫০ টি চারা কিনে এনে চারা গুলো দুই বিঘা তিন শতক জমিতে রোপন করেন। মাত্র নয় মাস পর ফল এসেছে। একেকটি গাছে বাম্পার ফল হয়েছে বলে জানান এই তরুন ফল চাষী। নতুন জাতের কাশ্মীরি কুলের পাশাপাশি সুন্দরীকুল চাষ করেছেন। ভিন জাতের কুল চাষাবাদের বিষয়ে চাষী সাব্বির হোসেন জানায়, চারা রোপন, চারপাশে ঘেরা ও পরিচর্যা দিয়ে প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। প্রথম বছরেই ঢেড় লক্ষ টাকার কুল বরই বিক্রি করেছেন আরও প্রায় কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন বলে মনে করেন। এই কুল বাগান থেকে ৭০ টাকা প্রতি কেজি পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফল চাষী সাব্বির হোসেন জানান, কৃষি সম্প্রসারণ রিপ্রেজেন্টেটিভ আব্দুর রউফ এর থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে ফল চাষ শুরু করেন এই তরুন ফলে চাষী।