করোনাভাইরাসের সংক্রোমন ঠেকাতে গোপালগঞ্জ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সব উপজেলা, পৌরসভাসহ, ইউনিয়ন এবং গ্রামের প্রবেশ ও বাহিরের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য জরুরী প্রয়োজন ব্যতিত সব ধরনের গণ পরিবহন চলাচল, হাট-বাজার, দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ কর্মকর্তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একাধিক বৈঠক করছেন। অবষেশে গোপালগঞ্জ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে গণ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জেলা প্রশাসক।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নেন। মঙ্গলবার রাত ১০ টা থেকে এই লকডাউন কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা।
জেলা প্রশাসক বলেন, করোনা আক্রান্তের বিষয়ে দেশের চলমান পরিস্থিতি উপর ভিত্তি করে গোপালগঞ্জ জেলাকে লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। পরর্বতি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে। জেলার ৫টি উপজেলার আভ্যন্তরীণ সব কয়েটি সড়ক পথে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আতঙ্কিত না হয়ে সকলকে লকডাউন মেনে চলতে অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মাদ বলেন, জেলার টুঙ্গিপাড়া প্রথম দু’টি গ্রামে ৩ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়ায়। এরপর একদিনে (১৩ এপ্রিল) মুকসুদপুর ৩ ও সদর উপজেলায় ৩ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়ায় জেলায় সর্বস্তরের জনগণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই অতিরিক্ত সর্তকতায় এই লকডাউনের ঘোষনা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। আজ পর্যন্ত জেলা থেকে ১৬৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ পাঠায়েছি। এর মধ্যে মোট ৯ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে।
এখন পর্যন্ত যাদের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়েছে এদের হিস্ট্রি থেকে আমারা জানতে পেরেছি, ৩ পুলিশ সদস্য বাদে বাকি ৬ জন জেলার বাইরে থেকে এসেছে।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র