টাঙ্গাইলের মধুপুরে জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা করে বন বিভাগ কর্তৃক উদ্ধারের প্রতিবাদে” আমার ভূমি আমার মা- কাইরা নিতে দিবনা” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে মধুপুর গড়াঞ্চলের সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে মধুপুরের জলছত্র মাঠে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার গড়াক্সচলের বিভিন্ন এলাকা হতে ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠির সদ্যরা বিভিন্ন শ্লোগান সম্মলিত ব্যানার নিয়ে পূর্ব ঘোষিত স্হান মধুপুর জলছত্র মাঠে একত্রিত হয়।
জয়েনশাহী “আদিবাসী” উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক এর সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে বাগাছাস কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি জন জেত্রার সঞ্চালনায়, উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আদিবাসী নেতা অজয় এ মৃ, উইলিয়াম দাজেল, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, বেরীবাইদ ইউপি চেয়ারম্যান জুলহাস উদ্দিন, শোলাকুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, ফুলবাগচালা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বেনু সহ অন্যান্য আদিবাসী নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে ইউজিন নকরেক বলেন, “মধুপুর গড়াঞ্চলে শতশত বছর ধরে আদিবাসীদের বসবাস কিন্তু বনবিভাগ কয়দিন পরপর আদিবাসীদের নিজ ভূমি উচ্ছেদ করার নোটিশ প্রদান করে। আমরা মধুপুরের জনগণ বনবিভাগ কর্তৃক তথাকথিত উচ্ছেদ নোটিশ মানিনা।” আদিবাসী নেতা অজয় এ মৃ বলেন, “বনবিভাগ হওয়ার আগ থেকেই মধুপুর বনে আদিবাসীরা বসবাস করছেন। সুতরাং আলোচনা ছাড়াই আদিবাসীদের উচ্ছেদ নোটিশ দিয়ে যে নীল নকশা করছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাই।” “বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম” পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ বলেন, এর আগেও প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে পীরেন নিহত হয়। এখন পর্যন্ত আমরা পীরেন হত্যার বিচার পাইনি। বরং গড়াঞ্চলের নিরীদের নামে শতশত মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। অবিলম্বে পীরেন হত্যার বিচার করতে হবে এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ভূমি সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। উক্ত সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ ভূমি সম্যসার দ্রুত সমাধান না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচির প্রদানের ঘোষণা দেন।