জেলার কাপ্তাইয়ে হ্রদের পাশে ভেসে উঠা পাহাড়ী ঢালুতে তরমুজ চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন কৃষকরা। হ্রদের দুপাশে পরিত্যক্ত ঢালুতে তরমুজ চাষে সফল হওয়ায় চাষিরা প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তরমুজ চাষে।
হ্রদের দুপাশে শত শত একর খোলা পরিত্যক্ত জায়গায় গত দু’তিন মাস যাবৎ চাষিরা তরমুজ বীজ বপন শুরু করেছে। ইতিমধ্যে এসব তরমুজ ক্ষেতে প্রচুর পরিমান তরমুজ ফল আসতে শুরু করায় তরমুজ চাষিরা খুশি।
সাধারনত রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেকবেষ্টিত বিভিন্ন উপজেলার লেকের কিনারায় পরিত্যক্ত খোলা জমিতে তরমুজসহ অন্যান্য ফসলের চাষ করে কৃষকরা।
রাঙ্গামাটির পাহাড়ে তরমুজের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকায় জেলার নারিয়ারচর উপজেলা, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, বাঘাইছড়ি, লংগদু উপজেলায় ব্যাপকভাবে তরমুজ চাষ হয় এবং স্থানীয় কৃষক ছাড়া ও দেশের বিভিন্ন জেলা হতে প্রতি বছর মৌসুমী ব্যবসায়ী চুক্তিভিত্তিক তরমুজ চাষে পারদর্শী কৃষকদের নিয়ে আসে পার্বত্য এলাকায় তরমুজ চাষ করতে।
কাপ্তাইয়ের আবুল কাশেম নামের একজন মৌসুমী সফল ব্যবসায়ী গত বছর পাহাড়ের পরিত্যক্ত ঢালু এলাকায় তরমুজ চাষ করে প্রায় ১৫/২০ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছেন। তার লাভ ও হয়েছে ভালো বলে জানান তিনি। এবছর ও তরমুজের ফলন ভালো হবে বলে আশা তার।
পাহাড়ের ঢালুতে চাষিরা তরমুজ চাষ,বীজ বপন,পাহাড়ের ঢালুতে মেশিন দিয়ে পানি সরবরাহ ও কৃষক শ্রমিক সরবরাহ করে ও এখানে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করছেন বলে জানান কৃষক।
তরমুজ চাষি আজম বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পাশে পানি থাকায় অবস্থায় প্রথমে হ্রদ হতে পানি নিয়ে বীজ বপন শুরু করে কৃষকরা। যখন বীজ থেকে গাছ হয়ে যায় এবং তরমুজের ফল আসতে শুরু করে তখন হ্রদের পানিও কমতে শুরু করে। পানি কমে গেলে কৃষকরা মেশিন লাগিয়ে পানি সরবরাহ করে। কৃষকরা জানান, এবার ও কাপ্তাই লেকবেষ্টিত ঢালু এলাকায় তরমুজের ভালো ফলন হবে এবং আগামী দু’মাসের মধ্যে তরমুজ বাজারে আসবে বলে তারা আশা করছেন।
কাপ্তাই লেকবেষ্টিত পরিত্যক্ত এলাকায় তরমুজ চাষের সম্ভাবনা নিয়ে রাঙ্গামাটি কৃষি কর্মকর্তা শান্তি রঞ্জন চাকমা বলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা হচ্ছে তরমুজ চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী অঞ্চল। এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তরমুজ চাষের পাশাপাশি কাপ্তাই লেকবেষ্টিত পরিত্যক্ত এলকায় তরমুজ চাষের যে সম্ভাবনা রয়েছে তা কাজে লাগাতে আমরা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি এবং কৃষি বিভাগের মাধ্যমে তাদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।