নওগাঁয় গ্রাম আদালত আইন ও নারী বান্ধব গ্রাম আদালত সম্পর্কে গনমাধ্যম কর্মীদের অবহিতকরন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করন (২য়) পর্যায়) প্রকল্পের সভাপতি ও স্থানীয় সরকার নওগাঁর উপ-পরিচালক গোলাম মো: শাহনেওয়াজের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: হারুন-অর-রশীদ। সভায় স্থানীয় সরকারের সহকারি পরিচালক হাসনাত জাহান খাঁন, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করন (২য়) পর্যায়) প্রকল্পের ডিস্ট্রিক ফ্যাসিলিটেটর শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি বিশ্বজিৎ সরকার মনি, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদ হাসান স্বপন সিদ্দিকী, জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ৪০জন গনমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় জানানো হয় জেলার বদলগাছী, মহাদেবপুর, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা, পোরশা ও সাপাহার উপজেলার ৪৯টি ইউনিয়ন পরিষদে এই প্রকল্পের গ্রাম আদালত কার্যক্রম শেষের দিকে। গ্রাম আদালতে জুলাই ২০১৭-জানুয়ারী ২০২১ পর্যন্ত ১৫হাজার ৩শত ৬৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিষ্পত্তি করা হয়েছে ১৫হাজার ২শত ৬২টি (৯৯.৩১%) মামলা। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সর্বমোট ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে ৮কোটি ৪৯লক্ষ ৯৪হাজার ১৮৪টাকা। গড়ে প্রতিটি মামলা ক্ষতিপূরন আদায় করা হয়েছে ১১হাজার ২৩৪.৬২টাকা। প্রকল্প শেষ হলেও গ্রাম আদালতের মাধ্যমে যে কোন মানুষ মামলা বিষয়ে যে কোন সহায়তা পাবেন। এই আদালতের মাধ্যমে ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলায় খরচ হবে ১০/২০টাকা। সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৯০/১২০দিনসহ নানা সুবিধা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে গ্রামের তৃনমূল পর্যায়ে মানুষরা পেয়ে থাকবেন। জেলার মহাদেবপুর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের তারা বেগম টাকা ধার দেওয়ার বিষয়ে গ্রাম আদালতের মামলায় ৬মাসের মধ্যে টাকা ফেরত পেয়েছেন এবং একই উপজেলার বেলট গ্রামের জুয়েল হোসেন গাছ কাটার দীর্ঘদিনের চলমান জটিল মামলায় হয়রানীর শিকার হওয়ার পর গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ৩৮দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি পেয়েছেন।