নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় লেখাপড়া থেকে আগ্রহ হারানো শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ফেরাতে ব্যাতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার একদুয়ারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। পাঠদানের সুবিধার্থে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের এলাকা ভিত্তিক ৬টি ব্লকে ভাগ করে নেয়া হয়। বিদ্যালয়ের ১৬জন শিক্ষক দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ৮ জন শিক্ষক শিক্ষা উপকরণসহ নির্দ্রিষ্ট ব্লকে পৌঁছেযান নির্ধারিত সময়ে। শুক্রবার বাদে সপ্তাহের প্রতিদিন প্রতি গ্রুপ তিনটি করে মোট ছয়টি ব্লকে গাছের ছায়ায়, বাড়ীর আঙ্গিনায় বা খোলা মাঠে ছায়াযুক্ত স্থানে শ্রেণী ভিত্তিক আলাদা করে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বাংলা, ইংরেজী, গণিত, বিজ্ঞান চারটি বিষয়ে চালাচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ পাঠদান। করোনার কারণে লেখাপড়া থেকে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ফেরাতে তাদের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের মাঝেও ব্যাপক সাড়া মিলছে একদুয়ারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদির মৃধা বলেন, করোনা সংক্রমণে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় একবারেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তাই তাদের লেখাপড়ায় আগ্রহ ফেরাতে গত ৯ জানুয়ারী থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাতিক্রমধর্মী এ উদ্যোগ গ্রহন করি। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বেশ সাড়া পাচ্ছি। ব্লকে কোন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে স্থানটি কাছে হওয়ায় অভিভাবকরা সে শিক্ষার্থীকে ক্লাসে নিয়ে আসছেন। কেউ মাস্ক পরিধান না করে আসলে বিদ্যালয়ের পক্ষ হতে মাস্কও দেয়া হচ্ছে। স্কুল খোলার পূর্ব পর্যন্ত এভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। মনোহরদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুর রহমান বলেন, করোনাকালীন সময়ে একদুয়ারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভ্রাম্যমাণ পাঠদানের বিষয়টি শুনে পরিদর্শন করেছি। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে নেটওয়ার্ক সমস্যা ছাড়াও প্রায় ২৫% শিক্ষার্থীদের বাড়িতে স্মার্ট ফোন না থাকায় এই ভ্রাম্যমাণ ক্লাস বেশ কার্যকর। তাদের ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।