বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের পরিচালক ছিলেন না -কৃষিমন্ত্রী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১

জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি ক্ষুদ্র জায়গায় রয়েছেন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন। এটি ইতিহাসে সেভাবেই থাকবে। তিনি যুদ্ধের নির্দেশক,পরিচালক কিছুই ছিলেন না। একটি সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। এইটুকুই তার পরিচয়। ইতিহাসের মূল নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সোমবার (০৮ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্রে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের ঘোষণা দেন। পরদিন ২৭ মার্চ পিটিআইয়ের রেফারেন্স দিয়ে ‘ শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন’ সংবাদটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে গুরুত্বের সাথে প্রচার হয়। একটি ঘোষণাপত্র পাঠের জন্য তো ইতিহাস পাল্টে যেতে পারে না। জিয়াউর রহমান আওয়ামীলীগের নেতাদের অনুরোধে স্বাধীনতাপত্রটি প্রথমে নিজের নামে, পরে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পাঠ করেন। তখন সবাই মনে করেছিলেন, যুদ্ধে যাচ্ছি একজন সামরিক বাহিনীর লোক দিয়ে ঘোষণাপত্রটি পাঠ করালে গুরুত্ব বাড়ে। এজন্য কৌশলগত কারণে তাকে দিয়ে ঘোষণাপত্রটি পাঠ করানো হয়। যতোই বলা হোক ইতিহাসে স্বাধীনতার ঘোষক বা মূল নেতা হিসেবে তিনি স্থান পাবে না। তিনি আরও বলেন, যারা পাকিস্তানে উচ্ছিষ্টভোগি ছিল, পা চাটা কুকুর ছিল , যারা পাকিস্তানের সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে তারাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করতে চায়। কিন্তু সত্য উদঘাটন হয়েছে। আমাদের এ প্রজন্মও এখন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানে। মুক্তিযুদ্ধের মহা নায়ক হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, পরবর্তীতে ৫৪ সালের নির্বাচন, ৬২ সালের স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ সালে শায়িত্ব শাসন ও স্বাধিকার আন্দোলনের মাধ্যমে ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ,৭০’র নির্বাচন ও ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। জেলা সদর বদ্ধভূমি স্মৃতিস্তম্ভের পাশে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্রে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের প্রশাসক ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক, জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের এমপি আলহাজ ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি আতাউর রহমান খান, টাঙ্গাইল-২( ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৪(কালিহাতী) আসনের এমপি মো. হাছান ইমাম সোহেল হাজারী, টাঙ্গাইল-৬(দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খঃ মমতা হেনা লাভলী, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী নুসরাত এদীব লুনা , পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর ,ওয়ালটন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এস এস নুরুল আলম রেজভী, নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান প্রমুখ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com