দলের ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে মূল্যায়ণের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘ত্যাগীরা আওয়ামী লীগের প্রাণ। তাদেরকে কমিটিতে রাখতে হবে। পকেট ভারী করতে বসন্তের কোকিলদের দলে টানবেন না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত হন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই। মতভেদ ভুলে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে হবে।’ কোম্পানিগঞ্জের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অভিযান অব্যাহত আছে। জড়িতদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
দলের নেতাকর্মীরা অনিয়ম, দুর্নীতি ও শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়ালে কেউ ছাড় পাবেন না উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শৃঙ্খলার বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে। দলের শৃঙ্খলা না মানলে যত বড় নেতা বা জনপ্রতিনিধি হোন না কেন, দল ছাড় দেবে না। কেউ অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়ালে দুর্নীতি দমন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা আছে।’
আন্দোলনে নিজেদের ব্যর্থতার দায় অন্যের উপর চাপিয়ে বিএনপি পুলিশ ও জনগণকে নিজেদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলে, অব্যাহত ব্যর্থতা আর ক্ষমতার রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ে বিএনপি এখন দিশেহারা পথিকের মতো। তারা পুলিশ ও জনগণকে এখন প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে। জনগণকে জিম্মি করে কোনো কর্মসূচি দেয়া যাবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জনগণ আমাদের শক্তি, তাদের সেবা করাই মূল লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। দেশেল প্রতিটি জনপদে এখন উন্নয়ন দৃশ্যমান।’
আগামীদিনের রাজনীতি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি ঘিরে হবে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির অপরাজনীতিতে জনগণের আস্থা নেই। তাদেরকে অপপ্রচার ও অপরাজনীতি ছেড়ে ইতিবাচক ধারায় ফিরতে হবে। আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী সভাপতি মো. মোকসেদ আলী মন্ডলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমূখ।