বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাস ইতিমধ্যে বিকৃত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গত বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানে রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন রচনা প্রতিযোগিতা কমিটির উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে রচনা প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তুসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা দেখেছি যে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাস ইতিমধ্যে বিকৃত করা হয়েছে। কোনো একটি দল তাদের নিজেদের স্বার্থে, ক্ষমতায় থাকার একমাত্র অভিলা্সে মুক্তিযুদ্ধের থেকে শুরু করে স্বাধীনতার ৫০ বছরের ইতিহাসকে বিকৃত করে, ইতিহাসকে খন্ডিত করে আজকে এই প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে। সেজন্য আমরা এই সূবর্ণ জয়ন্তীকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টার কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরোত্তমের মাধ্যমে। এই দল মুক্তিযোদ্ধা দল।
প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য তু্লে ধরে তিনি বলেন, রচনা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আজকে যারা বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থী আছে তাদেরকে যে নির্দিষ্ট টেক্সবইয়ের মাধ্যমে সঠিক তথ্য জানানো হচ্ছে না। তাদেরকে প্রকৃত ইতিহাস থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সেগুলো যাতে উপলব্ধি করতে পারে এবং অবহিত হতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা এই রচনা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছি। রচনা প্রতিযোগিতায় ১০টি স্তরে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি, উচ্চ মাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কাছ থেকে এই প্রতিযোগিতা আহ্বান করা হবে।
প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য শিশুদের জিয়া, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির জন্য মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ জিয়া, একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও জিয়াউর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি, শহীদ জিয়া: জননন্দিত রাষ্ট্রনায়ক, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও বিএনপি, আন্তর্জাতিক অঙনে শহীদ জিয়া, উন্মুক্ত স্তরের (সকল বয়সের জন্য) মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি, শহীদ জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচি ও বর্তমান উপযোগিতা, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের সূচনা ও বিকাশ, বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তরে শহীদ জিয়ার অবদান।
একইভাবে ইংরেজী মাধ্যমের জন্যও স্তর বেধে আলাদাভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগীদের ৩১ মের মধ্যে রচনা পাঠাতে হবে। জেলা ও বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, কমিটির সদস্য অধ্যাপক ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক এমদাদ হোসেন, অধ্যাপক শফিকুল হাসান মামুন, হাসান মাহমুদ, শামসুজ্জামান মেহেদি, একরামুল হাসান, মামুনুর রশীদ মামুন, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন ও সাইফ মো. জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।