গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফারুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। তিনি সুনামগঞ্জে হিন্দুদের বাড়িতে আক্রমণকে সঠিক কাজ হয়নি উল্লেখ করে বলেন, ইসলাম ধর্ম সহনশীল। এজন্য আলেম-ওলামাদের কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ডেমরায় মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় মারকাজুত তাহফিজ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে প্রায় এক হাজার কুরআন হাফেজ উপস্থিত ছিলেন।
ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরো বলেন, ‘আমরা হজরত বেলালের সুরে তেলাওয়াত শুনলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ওয়াসাল্লাম তার মাতৃভাষা আরবীকে খুবই ভালোবাসতেন। আমিও কুরআন ও আরবি ভাষার পাশাপাশি আমার বাংলা ভাষাকে শ্রদ্ধা করি। আমাদের শিশু ক্বারিরা আরবিতে যে সুমধুর সুরে তেলাওয়াত করেছেন আমরা শুনলাম। তার সাথে যদি বাংলাতে অনুবাদ হতো তার মর্মকথা আমাদের হৃদয়ে ধারণ হতো। তবে আপনাদের এ উদ্যোগে আমি মুগ্ধ হয়েছি।’
উপস্থিত ওলামাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তবে একটা অনুরোধ, অন্য ধর্ম খোদাই সৃষ্টি করেছেন। অন্য ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা সমীচীন নয়।’
বক্তব্যের শেষে ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে পবিত্র কুরআন শরীফ উপহার দেন আয়োজক ও মাহফিলের সভাপতি শায়েক নেছার আহমাদ এবং মিসরের অতিথি শায়েক মাহমুদ তুখী।
গত ১৭ মার্চ ৫০০ কুরআন হাফেজকে পাশের সনদ দেয়া হয়। হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার হিসেবে নগদ এক লাখ টাকা দেয়া হয়।
মারকাজুত তাহফিজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শায়েক নেছার আহমাদ আন নাছিরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের দেওবন্দ দারুল উলুম মাদরাসার তাফসির বিভাগের প্রধান আল্লামা আফজাল কাঈমুরী। বিচারক ও কুরআন তেলাওয়াত করেন ইরানের শায়েক সাঈদ তুসী, মিসরের শায়েক মাহমুদ তুখী, প্রধান বিচারক হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের। এছাড়া দেশী-বিদেশী অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।