সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। প্রজ্ঞাপন জারী করে লকডাউনে সারাদেশে গণপরিবহণ বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। অথচ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে (ব্ইাপাস) সড়কে দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। লকডাউনেও স্বাভাবিক জীবনযাত্রার চিত্র দেখা গেছে এ অঞ্চলে। তাই লকডাউনেও থেমে নেই স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। করোনা প্রতিরোধে সোমবার থেকে পরবর্তি ৭ দিনের জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও জীবিকার তাগিদে কেউ তা মানছে না বলে দাবী করেন তারা। আর তাই দীর্ঘ যানজটে নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার তারাবো পৌরসভা দিয়ে যাওয়া ঢাকা সিলেট মহা সড়কে সকাল ৮ টা থেকেই তীব্র যানজট। অন্যদিনের তুলনায় যানজট যেন আরো বেশি দেখা যায়। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সূত্র জানায়, সরকার ঘোষিত বিধি ও লকডাউনকে তোয়াক্তা করছেন তারা। এতে করোনা ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। রূপসী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ জানান, মনে করেছিলাম লকডাউনে সড়ক ফাকা থাকবে। রোগী নিয়ে বরপার লাইফ এইড হসপিটালে যাচ্ছিলাম। ২ কিলোমিটার সড়ক পেরুতে ১ ঘন্টা ধরে রোগী নিয়ে আটকে আছি। নিয়মিত কাঁচপুর ফিলিং স্টেশনে কাজ করেন গাউছিয়ার রমজান। তিনি বলেন, সকাল ৮ টায় গাউছিয়া থেকে রওয়ানা ২০ মিনিটের পথ ২ ঘন্টায় যেতে হয়েছে। এসব বিষয়ে ভুলতা গোলাকান্দাইল জোনের টিআই মনির হোসেন বলেন, লকডাউনেও যানবাহন প্রচুর বেরিয়েছে সড়কে। সবারই জুরুরি কাজ। আর নিয়ম মেনেই চলছে দাবী। সুতরাং আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নাই। তবে বিধি ভঙ্গ হলে আইনি ব্যবস্থা নেব। আবার ঢাকা সিলেট মহা সড়ক ছাড়াও এশিয়ান বাইপাস সড়কের ভুলতা গাউছিয়া থেকে গাজীপুরের পূবাইল পর্যন্ত আরো ১৫ কিলোমিটার জুরে মালবাহী ট্রাকগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকতে দেখা গেছে। এতে চরম ভোগা›িততে রয়েছেন এ পথে যাত্রী সাধারন। শুধু তাই নয়, এ পথে রাজধানী মুখে বিআরটিসিসহ সাধারন গণপরিবহণও স্বাভাবিকভাবে চলতে দেখা গেছে। সূত্র জানায়, বিধি অনুযায়ী গণপরিবণ চলার কথা না থাকলেও যাত্রীদের চাপ থাকায় অধিক মুনাফার লোভে এসব গণপরিবহণ চলছে। এসব বিষয়ে এশিয়ান বাইপাস এলাকার কাঞ্চন পৌর এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত (টিআই) জহিরুল ইসলাম বলেন, গাজীপুর থেকে গাড়ীগুলো এ রাস্তায় প্রবেশ করে যানজট তৈরী করে ফেলেছে। এ সমস্যা নিরসনে অন্য বিভাগের পুলিশের সহায়তা পাচ্ছি না। তারা লকডাউন বাস্তবায়ন নিয়ে ব্যস্ত। তাই আমার যে সংখ্যক লোকবল রয়েছে তা দিয়ে চেষ্টা করতেছি। এ সময় তিনি বলেন, সকাল ৮ টা থেকে এ দুপুর ১ টা পর্যন্ত এ যানজট ক্রমেই বেড়ে চলছে। এদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে কোথাও বিশেষ টহল টীম কিংবা ভ্রাম্যমান আাদালতের দেখা মেলেনি। তাই বেপরোয়া গাড়ী চলাচল হচ্ছে মহাসড়কে। সূত্র জানায়, লকডাউন ঘোষণা হলেও তা জীবিকার তাগিদে সাধারন লোকজন মানতে রাজি নয়। মধূখালী এলাকার বাসিন্দা মাহবুব আলম বলেন, প্রজ্ঞাপনে কঠোরতা না থাকায় সাধারন লোকজন লকডাউন মানতে চাচ্ছে না। তারা জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বেরুচ্ছেন। এসব বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহান বলেন, ভ্রাম্যমান টীম মাঠে রয়েছে। আমরা অভ্যন্তরীন নিষয়গুলো দেখছি। মহাসড়কের বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগ দেখবে।তারপরও রূপগঞ্জ অঞ্চলের বিষয়গুলো দেখবো।