পৈত্রিক ও ওয়ারিসমুলে ভোগদখলীয় জমি বেদখল করতে পায়তারা স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বিভিন্ন মামলা ও মামলা থেকে হেরে যাওয়ার পরে পেশীশক্তির দাপট দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে জমির দখলকারীরা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করলেও কোন কাজ হয়নি। অসহায় ও দরিদ্র জমির মালিক নগরীর উত্তমের সৈয়দ আলী বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। গতকাল বুধবার সকালে নগরীর স্থানীয় একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন রংপুরের উত্তম এলাকার মৃত আজিমুদ্দিনের পুত্র মোঃ সৈয়দ আলী। সংবাদ সম্মেলনে মোঃ সৈয়দ আলী জানান, তফশীলভুক্ত সম্পত্তির সাবেক ৭৫৮ নং খতিয়ানের রেকর্ডিয় মালিক কান্দুরা শেখ, নালিশীসহ নালিশী দাগের ভোগদখলকালে ৫ পুত্র কছিমুদ্দিন, জহুর উদ্দিন, ফৈসুদ্দিন, নৈমুদ্দিন, জয়মুদ্দিন পর্যায়ক্রমে মৃত্যুবরণকরলে ওয়ারিশগণ নালিশীসহ সম্পত্তির ওয়ারিশ প্রাপ্ত হন। জমিটি নিয়ে মিথ্যা ৯টি মামলা প্রভাবশালীরা দায়ের করলেও পরে আদালতের রায়ে হেরে যান। পরবর্তিতে স্থানীয় কাউন্সিলরসহ একটি মহল জমিটি জোরপূর্বক দখল ও গাছ কাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টির সুরাহা করতে জমির মালিক সৈয়দ আলী রংপুরের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪ জনকে আসামী করে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন। এর আগেও প্রভাবশালী চক্রটি জমির মালিককে হেনস্তা করতে বাড়ি চুরিসহ অগ্নিসংযোগ ও গাছ কেটে ফেলেন। সংবাদ সম্মেলনে জমির দখল ফিরে পেতে ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। বিষয়টি নিয়ে ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাফিজার রহমান লিটন জানান, আমি ২৮ শতক জমি ক্রয় করে গাছ লাগিয়েছি। কোন জমি দখল করা হয়নি। কাগজপত্র সৈয়দ আলী প্রদর্শন করলে আদালত ব্যবস্থা নেবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশের এস আই জোবাইদুল জানান, তদন্ত চলমান রয়েছে। কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে। শীঘ্রই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।