নিজের স্ত্রীকে ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এক স্বামী। এই প্রত্যাশা নিয়ে স্বামী ঢাকা থেকে ছুটে এসেছেন বিরামপুরে। স্বামী আব্দুল মতিনের অভিযোগে প্রকাশ, তার বাড়ি নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার শিশু গ্রামে। ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মতিন কর্মের প্রয়োজনে ঢাকায় অবস্থান করেন। তিনি ২০১২ সালের ২১ মার্চ মাসে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ধনসা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে শাহরিয়া শাপলাকে রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে বিবাহ করেন। এরপর তিনি স্ত্রীকে ঢাকায় অনার্স ও মাস্টার্স করিয়েছেন। সম্প্রতি তার স্ত্রী মোবাইলে বিভিন্নজনের সাথে অজাচিত কথা বলা শুরু করে। শাপলার পিতা জয়নাল আবেদীন বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে তার মেয়ে শাপলাকে নিয়ে আসে। পিতার বাড়ি থেকে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্বামী আব্দুল মতিন বহু চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। এ জন্য তিনি বহুবার বিরামপুর এসে পারিবারিক ভাবে দেন-দরবার করলেও স্ত্রী ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানান। এক পর্যায়ে তিনি জানতে পারেন, পিতার বাড়িতে থাকাবস্থায় আব্দুল মতিনকে তালাক না দিয়েই শাপলা দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার মংলাপাড়া গ্রামের ফরিদউজ্জামানকে ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের ৯মাস পর ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর শাপরা মতিনকে তালাক দিয়েছে মর্মে কাগজ পাঠেয়েছে। স্বামীকে বহাল রেখে কিভাবে স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন বিস্ময়।