গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর পল্লীতে এক হতদরিদ্র পরিবারে জমজ ৩ সন্তান জন্মের ১৭ মাস অতিবাহিত হলেও আজ অবধি তাদের ভাগ্যে জোটেনি শিশু ভাতার কার্ড। এমন খবর শুনে অনেকেই হতচকিত হয়ে পড়েছেন। সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্ধা গ্রামের হতদরিদ্র এখলাস আলীর স্ত্রী শাহিদা বেগম ১৭ মাস পূর্বে গাইবান্ধা ক্লিনিকে সিজার করে একই সাথে ৩টি জমজ সন্তানের জন্ম দেয়। আদর করে সন্তান ৩টির নাম রাখেন, মানিক মিয়া, মুক্তা মণি, হিরা মণি। জন্মের ১৭ মাস অতিবাহিত হলেও আজ অবধি সন্তান ৩টির নামে শিশু ভাতার কার্ড হয়নি। সন্তান ৩টির পিতা-মাতা স্থানীয় ইউপি সদস্য মজনু মিয়া ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আনিছা বেগম এর কাছে অনেক ধর্না দিয়ে আকুতি মিনতি জানালেও আজও হতভাগ্য সন্তান ৩টির ভাগ্যে জোটেনি শিশু ভাতার কার্ড। এমনকি মাতৃগর্ভে থাকাকালীন গর্ভবর্তী ভাতাও পায়নি ওই মহিলা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানও বিষয়টি জানার পরেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। ফলে এলাকার সচেতন মানুষের মাঝে বিষয়টি নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। এ দিকে হত দরিদ্র পিতা জমজ ৩টি শিশু সহ ৬ সদস্যের পরিবারের মুখের খাবার তুলে দিতে কর্মের সন্ধানে চট্টগ্রামে পারি জমায়। সেখানে রিক্সা চালিয়ে অর্থ উপার্জন করে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলে স্ত্রী শাহিদা বেগম অতি কষ্টে তাদের সংসার চালায়। এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন মহল জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং পরিবারটি বাঁচাতে সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।