পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার শহীদ পরিবারের সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল চন্দ্র হালদার অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। বাস করছেন জরাজীর্ন ঘরে। মুক্তিযুদ্ধে পরিবারের ৫ স্বজনকে হাড়িয়ে যার রাত কাটে কেঁদে কেঁদে। পরিমল চন্দ্র উপজেলার মঠবাড়িয়া (বহেরাতলা) গ্রামের শহীদ মধুসুদন হালদারের ছেলে। ১৯৭১ সালের ৬ অক্টোবর রাতে রাজাকার এম এ জববার ইঞ্জিনিয়ারের নির্দেশে মঠবাড়িয়া ও আঙুলকাটা গ্রামে আক্রমন ও লুটতরাজ শেষে ৩৭ জনকে ধরে নিয়ে স্থানীয় সূর্যমনি স্লুইজ গেট এলাকায় নি?য়ে গুলি করে হত্যা করে । এর মধ্যে পরিমলচন্দ্রের পিতাসহ একই পরিবারের ৫ জন শহীদ হন। ভাগ্যক্রমে পরিমলচন্দ্র বেঁচে যান। বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল চন্দ্র হালদার ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য সওগাতুর আলম সগীরের সহযোগিতায় ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত এর বসিরহাট আমলানি ক্যাম্পে প্রশিক্ষন শেষে ৯ নং সেক্টর কমান্ডার এম এ জলিলের অধীনে সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। বর্তমান সরকার মানবতা বিরোধী অপরাধে ইঞ্জিনিয়ার এম এ জববারের বিরুদ্ধে মামলা করায় তার স্ত্রী বকুলী রানী সাক্ষ্য প্রদান করেন। ট্রাইবুনাল সাক্ষীর আইডি নং-০১২০১৪১৫। মামলায় কুখ্যাত রাজাকার জববারের সাজা হয়। তিনি উপজেলার আলোচিত এলাকা নলী বাড়ই বাড়ী এলাকায় সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করার জন্য দ্বারে দ্বারে ধর্না দিয়েও অজ্ঞাত কারনে এবং সংশ্লিষ্ট ন্থানীয় কর্তা ব্যক্তিদের কারনে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাস্ট্রের কাছে স্বীকৃতি পায়নি। তিনবার ষ্ট্রোক করে চিকিৎসা নিতে ব্যর্থ হয়ে রোগে শোকে মুহ্যমান পরিমল তার জীবনের শেষ কথাগুলো বলার জন্য বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ প্রার্থনা করেছেন। পরিমল চন্দ্র হালদার মানবেতর দিনযাপন করেছেন।