সরকার ঘোষিত দ্বিতীয় ধাপের কঠোর লকডাউনেও ভাল আছে দিনাজপুরের হিলির রেলস্টেশনের শ্রমিকরা। স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কাজ করছেন তারা। বুধবার (২১ এপ্রিল) সকালে হিলি রেলস্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছে হিলি স্থলবন্দরের আমাদানি-রপ্তানির কার্যক্রম। ভারত থেকে স্থলপথে হিলি বন্দরে আসছে বিভিন্ন পণ্য। এদিকে রেলপথে ভারত থেকে দেশের বেনাপোল, দর্শনা ও বিরল দিয়ে হিলি রেলস্টেশনে রেলযোগে আসছে গম ও চাল। হিলি রেলস্টেশনে ভারত থেকে আসা পণ্য বাহী ওয়াগনগুলো আনলোড করে,দেশি ট্রাকগুলো লোড করতে এই স্টেশনে কাজ করছেন প্রায় ১০০ জন শ্রমিক। সকাল ৮ থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত চলে এই কার্যক্রম। করোনাট লকডাউনে বন্ধ রয়েছে সকল খেটে খাওয়া দিনমজুরদের। কিন্তু হিলি রেলস্টেশনের শ্রমিকরা দেশের এই দুর্দিনেও অনেক ভাল আছে। স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখে কাজ করে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। সারাদিন কাজ করে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরি পাচ্ছেন তারা। শ্রমিক দুলাল মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমি এই স্টেশনে লেবারের কাজ করে আসছি। লকডাউনে সব বন্ধ থাকলেও আমাদের কাজ বন্ধ হয়নি। খুবি ভাল আছি। আতাউর রহমান নামের একজন শ্রমিক বলেন, সকাল থেকে কাজ করছি, কথা বলার সময় হাতে নেই। আরও অনেক কাজ বাঁকি আছে। আজিজুল হক বলেন, আল্লাহ দিলে আমরা এখানকার সবাই ভাল আছি। একদিনও কাজ বন্ধ নাই। সারাদিন ওয়াগন থেকে গম আর চাল আনলোড করে দেশি ট্রাকগুলো লোড দিচ্ছি। এতে আমাদের কামাই-ধান্দা ভাল হচ্ছে। শ্রমিকের সাইড সরদার জাকির হোসেন জানান, এই স্টেশনে আমার দায়িত্ব প্রায় ১০০ জন মতো লেবার রয়েছে। প্রতিদিন কাজ হচ্ছে, এতে করে কাজ শেষে সবাই প্রাপ্ত মজুরি নিয়ে বিকেলে বাড়ি যাচ্ছেন। হিলি রেলস্টেশনের শ্রমিক প্রধান গোলাম মোর্শেদ বলেন, সামাজিক দুরত্ব ও মাস্ক পরিধান করে প্রত্যেক লেবার তারা কাজ করছেন। এখানে স্বাস্থ্য বিধির কোন সমস্যা নেই। তিনি আরও ভারত থেকে বেনাপোল, দর্শনা ও বিরল দিয়ে হিলি রেলস্টেশনে পণ্যবাহী ওয়াগনগুলো আসছে। দেশের বাজারে চাহিদা ও মুল্য ঠিক রাখতে আমরা দ্রুত পণ্য আনলোড করে দেশি ট্রাকগুলো লোড দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। সারাদিন পরিশ্রম করে প্রত্যেকেই শ্রমিকরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকারও বেশি পায়।