গোপালপুরে নগদা শিমলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজ আলী(৬৫)কে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলায় আহত করে দোকান ও ঘরবাড়ী ভাংচুরসহ লোটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিরাজ আলী বাদী হয়ে ৬জনসহ অজ্ঞাত ৪/৫জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন। বুধবার দুপুরে ওই এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গ্রামে মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারি হচ্ছে। শনিবার বিকালে নিজ বাড়ী থেকে চরচতিলা যাওয়ার সময় পথে আনছার আলী, শামীম হোসেন, আলফাজ, সবুজ, বাদশা মিয়া ও শামছু গং মিলে সিরাজ আলীর গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনি মারাত্বকভাবে আহত হন। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে নূরুল ইসলাম ও শাকিল নামে আরো দু’জন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে হামলাকারীরা সন্ত্রাসী কায়দায় সিরাজ আলীর বাড়ীতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ১১টি বসত ঘর, আসবাবপত্র, টিনের ভেড়া, দরজা-জানালা, বিদ্যুতের মিটার ও দোকান ভাঙ্চুর করে লুটপাট চালায়। এসময় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। আহত সভাপতি সিরাজ আলী জানান, নতুন মসজিদ তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাদশা গ্রুপের লোকেরা তার বাড়িঘরসহ দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। তাকেও বেদম মারপিট করে। অপরদিকে বাদশা মিয়া অভিযোগ করেন, সিরাজগ্রুপের লোকজন মসজিদে মুসুল্লী ভাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং সেখান থেকেই মারপিটের সূচনা। নগদাশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন আলী জানান, ওই গ্রামে মাত্র ১২টি পরিবারের বসবাস। মৃত ইব্রাহীম হাজীর বাড়িতে একটি পুরনো মসজিদ রয়েছে। সেই মসজিদের জায়গাজমি দখল নিয়ে বিবাদে তিনদিন আগে গ্রামে আরো দুটি নতুন মসজিদ গড়ে উঠে। তিন মসজিদে জুম্মার ও তারাবী নামাজের মুসুল্লী ভাগাভাগি নিয়ে দু’দিন ধরে মারামারি চলছে। গোপালপুর থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, পুরাতন মসজিদের জমি ও নতুন মসজিদে মুসুল্লী ভাগানো নিয়ে এ বিবাদ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সিরাজ আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।