মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

তাড়াশে ‘কর্মসৃজন প্রকল্প’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

ইব্রাহিম হোসেন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির ‘৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প’ বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে ভুয়া নাম ব্যবহার করে শ্রমিক হাজিরা বেশী দেখাচ্ছেন প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্যগণ। এমনকি শ্রমিকের পরিবর্তে স্কুল পড়–য়া বাচ্ছাদের দিয়েও করানো হচ্ছে মাটি বহনের মত ভারী কাজ। উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নে বাস্তবায়িত অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির ‘৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ ১৯ এপ্রিল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক হাজিরা কম থাকলেও হাজিরা খাতায় দেখানো হয়েছে শত ভাগ উপস্থিতি। দেখা গেছে শিশু শ্রমিক। ৫ম, ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে পড়–য়া ছেলে মেয়েরা অন্তর্ভূক্ত হয়েছে এ প্রকল্পে। এমন কি কর্মসুচির তালিকায় অনেকের নাম দিয়ে প্রতিদিন কাজে উপস্থিতি দেখানো হলেও তারা জানেন না কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজটাই বা কি!’। এছাড়াও ঝুরঝুরি গ্রামের আব্দুল আজিজের বাড়ি হতে পশ্চিম দিকে রাস্তা নির্মান প্রকল্পে ৩৩ জনের মধ্যে ২৪জন উপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতায় ৩৪জন দেখানো হয়েছে। কাঞ্চনেশ্বর মসজিদে মাটি ভরাট প্রকল্পে হাজিরা খাতায় ৩৪জন উপস্থিতি দেখানো থাকলেও বাস্তবে কাজ করছেন ২২জন। তবে প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ার্ড মেম্বর আজাহার আলী বলেন ৭জন ছুটি নিয়ে গেছেন। পৌষার আসাবের বাড়ি গর্ত ভরাট প্রকল্পে ৪০দিনের শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এখানেও ২৩জন শ্রমিক কাজ করলেও হাজিরা খাতায় রয়েছে ৩২জন। কাস্তা পশ্চিম পাড়া মসজিদে মাটি ভরাট প্রকল্পে বিকাল ৩টার সময় তাদের পাওয়া যায়নি। রাস্তার মধ্যে শ্রমিকদের সাথে দেখা হলে তারা বলেন ২২জন কাজ করেছি। পরে প্রকল্পে কিছু শ্রমিক আসলে তাদের সামনে প্রকল্পের সভাপতি ওয়ার্ড মেম্বর জিয়াউর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অফিসের সিন্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করছি।তিনি আরোও বলেন আমার মাথার উপর কাঁঠাল ভেঙ্গে খাবে আর আমার দোষ হবে। তবে কে কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। সর্বোপরি মঙ্গলবার গুড়মা দেদারের বাড়ি হতে আক্কাছের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পে দেখা যায় ৩৬জন উপস্থিত দেখানো হলেও বাস্তবে কাজ করছেন ২২জন। প্রতিটা প্রকল্পে কিছু ভুয়া নাম দেওয়া হয়েছে। হাজিরা খাতা থেকে কিছু নাম সংগ্রহ করে তাদের কাছে গেলে তারা বলেন আমার নাম দেওয়া হয়েছে আমি জানি না। প্রকল্পের এক সভাপতি বলেন, ভুয়া নামের শ্রমিকের টাকা দিয়ে নাকি অফিস ম্যানেজ করেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নূর মামুন বলেন, প্রতিটা প্রকল্পেই উপস্থিতি কম থাকার কথা নয়। তবে যদি এ রকম হয়ে থাকে অফিসিয়াল ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিম বলেন, শিশু শ্রমিক এই প্রকল্পে কাজ করবে না। যদি করে থাকে অবশ্যই এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর শ্রমিক কম থাকলে বা ভূয়া নাম দিয়ে উপস্থিতি দেখানো হলে তাদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com