সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন

বেতাগীতে মাঠ ভরা বোরোর সবুজ ধানে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১

মহামারী করোণা সংকটের দুর্দিনেও বরগুনার বেতাগীতে চলতি মৌসুমে বোরো উপযোগী ফসলি জমির মাঠগুলোতে এখন শোভা পাচ্ছে হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল বোরো ধান। ধানের সবুজ রঙে ভরে উঠেছে উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ। মহামারী করোণার মাঝেও হাল ছাড়েননি কৃষকরা।গত মৌসুমে ধানের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যেও এবার কোমড় বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। এ উপজেলায় বিগত বছররের তুলনায় এবারে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কৃষক উন্নত জাতের বোরো ধানের আবাদ করেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১৫ হেক্টর। তবে আশার কথা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও কযেকগুন বেশি জমিতে ৫ থেকে ৬ শত উপজেলার ১টি পৌরসভা সহ ৭টি ইউনিয়নের বিবিচিনি, বেতাগী, বুড়ামজুমদার, কাজিরাবাদ ও হোসনাবাদসহ কম-বেশি বিভিন্ন এলাকায় মোট ৭০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড-চমক, বীণা-১০, ব্রি-২৯, ব্রি-৪৭, ব্রি-৬৭, ব্রি-৭০ এসব জাতের ধানের চাষাবাদ হয়েছে। তার মধ্যে আবহাওয়া অনুকূলে থাকাসহ সঠিক সময়ে চারা লাগানো থেকে শুরু করে সেঁচ দেয়া ও সার সংকট না থাকায় ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর মধ্যে হালকা বৃষ্টিপাত হলে ধানের রোগ-বালাই অনেকটাই কমে যাবে এমনটা ধারণা করা হচ্ছে। প্রনোদনার আওতায় কৃষকদের মাঝে বীজ সহায়তা প্রদান, উপজেলায় স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবং আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করায় মাঠজুড়ে লক লক করছে ইরি-বোরো ধানের চারা। আর কোথাও এক মাসের মধ্যে আবার কোথাও একমাসেরও কম সময়ের মধ্যে চলতি মৌসুমে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে ধারণা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। এদিকে কৃষকরা মাঠে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান গাছের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠে গিয়েই দেখা যায় মৃদু হাওয়ায় সবুজ ধানের দোল। উপজেলার কাজিরাবাদ এলাকার কৃষক মো: কামাল হোসেন বলেন, চলতি বছরে সারে ৩ একর জমিতে আমি বোরো ধান চাষাবাদ করেছি। কোনো ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে বিগত বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারব। বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের বদনী খালীর কৃষক মোশারেফ হোসেন ও সানু মৃধা,বলেন, প্রচন্ড রোদে চাষাবাদে কস্ট হলেও খেতের দিকে তাকালে মনটা জুড়িয়ে যায়। শুধূ এরাই নয়, বিবিচিনির বেল্লাল খান, শাহাদাত হোসেন ও হোসনাবাদের অনু বেগম জানান, করোণা সংকটের পরেও হাল ছাড়েননি। স্বাস্থ্যঝুঁকি মাঝেও স্বাস্থ্য সুরক্ষার নির্দেশনা মেনে কাজ করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: ইকবাল হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে শুরু থেকেই কৃষকদের চাষাবাদে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কৃষি দেশের উন্নয়নের বড় মাধ্যম্। সরকার দেশের কৃষিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। উন্নত মানের বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে কৃষক খুব কম কস্টে অধিক পরিমান ফসল উৎপাদন করতে পারছেন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বছরে এ উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com