বরগুনার তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু ও সোলায়মান হোসেন সবুজের বিরুদ্ধে জমিদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমির মালিক বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন ও ওই জমির রক্ষনাবেক্ষক সিদ্দিক গাজী গত শুক্রবার তালতলী থানায় এবং শনিবার সাংবাদিকদের কাছে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে জানা গেছে, সহযোগী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন গংরা ২০০৬ সালে নয়াপাড়া এলাকার মৃতু ইউসুফ আলী হাওলাদারের পুত্র মশিউর রহমান বাবুল ও আতিকুর রহমান বাদলের কাছ থেকে ৪৪নং বড়বগী মোজায় ৫০৬ ও ৫৫৮নং খতিয়ান থেকে ৪টি সাবরেজিষ্ট্রি দলিল মুলে ১৪,৫০ একর জমির ক্রয়সুত্রে মালিক হয়ে সেই থেকে ১৫বছর পর্যন্ত ভোগদখলে আছেন। সম্প্রতি দাতা আতিকুর রহমান বাদলের কাছ থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু ও সোলায়মান হোসেন সবুজ একই খতিয়ান দিয়ে একটি বায়না চুক্তি সম্পাদন করে জাহাঙ্গীর হোসেন গংদের জমির বাউন্ডারীর মধ্যের রাস্তা সংলগ্ন হতে প্রায় দেড় একর জমি বাউন্ডারী দিয়ে একটি পুরাতন ঘর বসিয়ে দখল করেন। তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জান মিয়া বলেন, জমি দখলের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দখলদারদের কাজ স্থগিত করে দিয়েছি। পরে ওই জমির কাগজপত্র দেখানোর বৈঠকে জেলা আ’লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ফজলুল হক জোমাদ্দারের মধ্যস্থতায় সমযোতা বৈঠকের তারিখ হয়েছে। ওই বৈঠক এখনো হয়নি।