করোনা পরিস্থিতি শুরুর দিকে হুট করেই ফেস মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা বেড়ে যায়। চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এসবের পাশাপাশি পালস অক্সিমিটারেরও চাহিদা বেড়ে যায়।
অ্যাপলের নতুন স্মার্ট ঘড়ি অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৬-এ যুক্ত হয়েছে ব্লাড অক্সিমিটার। সুবিধাটি ব্লাড অক্সিজেন লেভেল বা লোহিত রক্তকণিকায় অক্সিজেনের পরিমাণ নির্ণয়ে সাহায্য করে। করোনাকালে সুবিধাটি বেশ কাজের বলে মনে করা হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে – এই যন্ত্রটি দিয়ে ‘রক্তে কী পরিমাণ অক্সিজেন পরিবাহিত হচ্ছে’ তা মাপা যায়। আর এর মাধ্যমে দেহে অক্সিজেনের অবস্থা পরিমাণ জেনে করোনা সহ বিভিন্ন রোগের (সিওপিডি, অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগ ইত্যাদি) উপস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। বাজারে চাহিদা বেড়ে ওঠায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও লাভবান হচ্ছে। পাশাপাশি এই ডিভাইসটিকে আরো সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করছে। এখনকার ডিভাইসগুলো হাত ও আঙ্গুলে জুড়ে দিয়ে সহজেই ব্যবহার করা যাচ্ছে।
এছাড়া এর সেন্সরের দামও খুব একটা বেশি না। আলাদা করে বাড়তি কোনো কিছু ঝুলিয়ে রাখতে হচ্ছে না। এখন আসা যাক আসল কথায়। অন্যান্য নির্মাতাদের মতো অ্যাপলও পালস অক্সিমিটারে মনোযোগ দেয়। অ্যাপল গত সপ্তাহে ঘোষণা দেয়, তাদের ওয়াচ সিরিজ ৬-এর স্মার্ট ওয়াচগুলোতে ব্লাড অক্সিজেন ও পালস রেট সনাক্তের ফিচার যুক্ত থাকবে। এসব ফিচারের জন্য চার রঙের ছোট বাতিও বা ফটোডিওড থাকবে।
এখন কথা হচ্ছে, আদৌ অ্যাপলের স্মার্টওয়াচে সংযুক্ত এই অক্সিমিটার কাজ করবে কিনা। অর্থাৎ সঠিক ফলাফল দেখাবে কিনা! স্বাস্থ্য সেবা সংশ্লিষ্ট পণ্য বা ডিভাইস বাজারে আনার আগে যুক্তরাষ্ট্রে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদন লাগে। এফডিএ কর্তৃপক্ষ এখনো এই ডিভাইসটির ব্যাপার কিছুই জানায়নি। এফডিএ’র অনুমোদন বা এ ব্যাপারে মন্তব্যের পরই জানা যাবে আদৌ এই ডিভাইস কতটা কাজ করবে। সূত্র: টেকশহর