অদৃশ্য করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে হু হু করে রংপুর বিভাগে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) নতুন করে আরও ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগের আট জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩০ জনে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. একেএম নুরুন্নবী চৌধুরী লাইজু। তিনি জানান, পিসিআর ল্যাবে দুই দফায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আক্রান্তরা হলেন, রংপুর নগরীর শালবন মিস্ত্রিপাড়া এলাকার বাসিন্দা সোনালী ব্যাংক বাজার শাখায় কর্মরত এক পুরুষ (৫৭), একই এলাকার একই ব্যাংকে কর্মরত এক পুরুষ (৪৫), সোনালী ব্যাংক বাজার শাখার কর্মকর্তার মেয়ে কারমাইকেল কলেজ এলাকার এক শিশু কন্যা (৭), কুকরুল এলাকার এক পুরুষ (৪২) এবং সদর উপজেলার পাগলাপীর বাজার এলাকার বাসিন্দা এক পুরুষ (৪৫) ও তার আড়াই বছরের ছেলে।
এছাড়াও নীলফামারীর ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হেলথ টেকনোলজিস্ট একজন (৪২), নীলফামারী সদরের এক যুবক (২০), ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জের এক পুলিশ সদস্য (২১) এবং কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত এক যুবক (২৫)।
এদিকে আজকে শনাক্ত হওয়া ৭ জনসহ রংপুর জেলায় সর্বোচ্চ ৩৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো। আর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম শনাক্ত হয়েছে লালমনিরহাট জেলায়। রংপুর বিভাগের আট জেলার মধ্যে লালমনিরহাট ছাড়া বাকি সব জেলাকে লকডাউন (অবরুদ্ধ) করা হয়েছে।
রমেকের পিসিআর ল্যাবে গত ২ এপ্রিল হতে ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৬ ধাপে ৩০৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ১২০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়াও ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) মাধ্যমে ইতোপূর্বে রংপুর বিভাগের আরও ৬ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়।
রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার জানান, জেলায় বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত মোট ৩৯ জনের করোনা শনাক্ত। এর মধ্যে শুধু চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্ট ১৬ জন এবং ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী ৯ জন রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়েছেন। বাকিরা হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এমআর