আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনীর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের বাংলাবাজার এলাকায় এক হিন্দু পরিবারের অর্ধকোটি টাকা মূল্যের জমি দখলে নিয়ে বসতঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। প্রভাবশালী জাহাঙ্গীর আলম ও তার অনুসারীদের দখলকান্ডে অসহায় হয়ে পড়েছে ভূক্তভোগী বেনু লাল দাসের পরিবার। নিরাপত্তাহীনতায়ও ভূগছেন তারা। সোমবার (২৪ মে) বিকেলে বেনু লাল দাস সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করে প্রশাসনের কার্যকরী হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে বেনু লালের জমি স্থানীয় জাকের পার্টির কর্মি জাহাঙ্গীর আলমের কুনজরে পড়ে। জাহাঙ্গীর ঠুনকো মালিকানা দাবি করে জমি দখলের চক আঁকে। এতে গেল বছরের ২৩ নভেম্বর বেনু লাল মতলববাজ জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে থানা পুলিশকে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে ব্যবস্থা এবং রায়পুর উপজেলা সহকারি কমিশনারকে (ভূমি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর রায়পুর থানার এএসআই জাকির হোসেন মৃধা ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহাঙ্গীরকে নোটিশ করেন। বেনু লাল দাস জানান, সম্প্রতি ২০ নং কাঞ্চনপুর মৌজার হালে ৩৪ নম্বর কাঞ্চনপুর মৌজার জেলা ২৬নম্বর খতিয়ানের সাবেক ২৬২৫ দাগ হালে ৩০৯১ দাগে ৬৮.৫০ শতাংশ ভূমির অন্দরে ৪০ শতাংশ জমি জাহাঙ্গীর দখল করেছে। সেখানে অন্যায়ভাবে বসতঘন নির্মান করা হয়। দখলীয় জমি উদ্ধার ও গাছগুলো না কাটতে বেনু লাল ইউপি কার্যালয় ও থানায় বিচার না পেয়ে ২৯ নভেম্বর জাহাঙ্গীরকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা করেন। এবং দখলের বিরুদ্ধে রায়পুর থানায় জিডি করেন। কিন্তু নির্দেশ উপেক্ষা করে কয়েকদিন আগে রাতে বহিরাগত লোকজন নিয়ে দখলীয় জমিতে বসতঘর নির্মাণ করে। আদালতের আদেশে বামনী ইউপির ভুমি কর্মকর্তা আবদুস সাত্তার ২১ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দেন। জমিটি বেনু লালের বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার মুক্তিযোদ্ধা-মৃত পিতা ও মাতার ওয়ারিসসহ সোয়া ১৮ শতাংশ জমিতে বসতঘর করে বসবাস করছি। কিন্তু মিথ্যা জমি দাবি করে মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি দাবি করেন। আদালতের মাধ্যমে মামলা মোকাবেলা করবো। ইউপি চেয়ারম্যান তাফ্জ্জাল ও সাবেক ইউপি সদস্য সুলতান হাজী বলেন,নিরিহ হিন্দুদের জায়গায় গুলো জোরপূর্বক দখল করে কথিত জাকের পার্টির নেতা রিক্সার মিকার জাহাঙ্গীরসহ অন্যরা। এটা একটা বড় জুলুম। তাদের কে আইনি সহযোগিতা নিতে বলেছি। রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, বেনু লাল ও জাহাঙ্গীরের মধ্যে ৪০ শতাংশ জমির বিরোধের মামলাটি আদালতে চলমান। শান্তি বজায় রাখতে উভয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীরকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে।