ফ্রান্সের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহর হলো প্যারিস। আর সেখানেই মাথা উঁচু করে ১৩২ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে আইফেল টাওয়ার। ফ্রান্সে গেলে আইফেল টাওয়ারে ঢুঁ মেরে আসতে ভুলেন না কেউ!
জানেন কি, বিশ্বের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের তুলনায় আইফেল টাওয়ারে সর্বাধিক দর্শনার্থী এ পর্যন্ত পরিদর্শন করেছেন। প্রতি বছর কোটি কোটি মানুষ আইফেল টাওয়ারে ঘুরতে যান। দিনের বেলাও যেমন দর্শনার্থীরা আইফেল টাওয়ারের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন; ঠিক তেমনই রাতের বেলাও চোখ ফেরানো যায় না আইফেল টাওয়ারের আলোসজ্জায়। এর সৌন্দর্য প্যারিসের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উপভোগ করা যায়। বিশেষ করে রাতের বেলায় স্থানটি আরও বেশি আকর্ষণীয় ও রহস্যময় হয়ে ওঠে। এতো আলোকসজ্জা আর দর্শনার্থীর ভিড়েও মাঝরাতে আইফেল টাওয়ারের আশেপাশে দেখা যায় অদৃশ্য নারীর প্রতিচ্ছবি!
অনেকেই দাবি করেন, আইফেল টাওয়ারটি যে স্থানে এমন এক জায়গা যেখানে পেরে লাচাইসের মতো বড় কবরস্থান এমনকি কুখ্যাত ক্যাটাকম্বও আছে। অনেকেই সেখানে অদ্ভুত সব ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন। মাঝরাতে আলো ঝলমলে আইফেল টাওয়ার প্রাঙ্গণে রহস্যময় ছায়া মূর্তির দেখা মেলে বলে মত অনেকের।
ফেল টাওয়ার সম্পর্কিত সর্বাধিক প্রচলিত ভৌতিক এক কাহিনি আছে। এক দম্পতিকে ঘিরে এই কাহিনি। জানা যায়, এক অল্প বয়সী দম্পতি এই টাওয়ারের উঁচুতে আরোহণ করেছিলেন। সেখানেই ছেলেটি তার বান্ধবীকে প্রেমের প্রস্তাব দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি যখন তার বান্ধবীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন; দুর্ভাগ্যক্রমে বান্ধবী তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ওই ছেলেটি ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং ক্রোধের বশবর্তী হয়ে তার বান্ধবীকে নিচে ফেলে দেন। পড়ে গিয়ে নিহত হন তার বান্ধবী। এখনো না-কি সূর্যাস্তের সময় আইফেল টাওয়ারের উপরে এক নারীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়!
এমনই আরও একটি কাহিনির প্রচলন আছে। আইফেল টাওয়ারের শীর্ষে আরও এক তরুণ দম্পতি ওঠেন। এবারও প্রেমিক তার বান্ধবীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। তবে আগের ঘটনার মতো এবারের বান্ধবী প্রস্তাবে না করেননি, বরং তিনি অত্যন্ত খুশি ও হতবাক হয়ে টালমাটাল হয়ে পড়ে যান। টাওয়ারের নিচে রেলিংয়ের উপরে পড়ে তার মৃত্যু ঘটে। এসব ঘটনা ১৯২০ সালের দিকে ঘটেছে বলে জানা যায়। অনেক দর্শনার্থীরাই আইফেল টাওয়ারের আশেপাশে ১৯২০ সালের পোশাকে কোনো নারীকে অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখেছেন। অনেকেই ধারণা করেন, প্রথম দুর্ভাগ্যবান বান্ধবীদের কেউ হতে পারেন।
আইফেল টাওয়ারের ভুতুড়ে কর্মকা-ের বিষয়ে কোনো সত্যতা আছে কি-না তা প্রমাণিত হয়নি এখনো। তবে প্যারিসের অন্যতম রোমান্টিক এই স্থানটিতে অনেকেই এসব ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন। আইফেল টাওয়ারটি প্যারিসের সর্বাধিক জনপ্রিয় স্থান। প্যারিসের বিভিন্ন স্থান থেকে দেখা যায় এটি। প্রতি রাতে আইফেল টাওয়ার সাজে নানা রঙে ও নকশায়।