শুটিং শুরুর সময় থেকেই দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে জনপ্রিয় নির্মাতা শিহাব শাহীনের ওয়েব সিরিজ ‘মরীচিকা’। নানা চমক ও তারকাবহুল এই সিরিজটির সেই আলোচনায় উত্তেজনার পারদ চড়ালো সিরিজটির ট্রেলার। গতকাল সন্ধ্যায় অবমুক্ত হওয়ার পর থেকে রীতিমত প্রশংসায় ভাসছে ট্রেলারটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্ন গ্রুপে চলছে রীতিমত তোলপাড়।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসে চরকিতে মুক্তি পেতে পারে বহুল প্রতীক্ষিত এই সিরিজটি। সিরিজটিতে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ, আফরান নিশো, মাহিয়া মাহি, ফারহান আহমেদ জোভান, ফারজানা রিক্তা প্রমুখ। নির্মাতা শিহাব শাহীন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ট্রেলার মুক্তির পর দর্শক রেসপন্স দেখে সত্যি মুগ্ধ আমি। দর্শকরা বেশ পছন্দ করেছেন এটি। আমি অনেক খুশি। এখন এটুকুই বলবো, এটা তো শুধু ট্রেলার, সিনেমা এখনো বাকি আছে। তিনি আরও বলেন, গত বছরের অক্টোবরে আমরা সিরিজটির শুটিং শেষ করি। এরপর নভেম্বর মাসেই ট্রেলার বানিয়ে আমি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কাছে জমা দেই। যখন জমা দেই সেটা দেখে তখনই তারা অনেক এক্সাইটেড ছিলেন। তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এটা দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলবে। দর্শকরা যেই আশা নিয়ে অপেক্ষা করছেন তাদের আশা বৃথা যাবে না।
অভিনয়শিল্পীদের প্রসঙ্গে এ নির্মাতা বলেন, এখানে যারাই অভিনয় করেছেন তারা প্রত্যেকেই চমৎকার কাজ করেছেন। তাদের সবার কাছে আমি যেমনটা চেয়েছিলাম তারা ঠিক তেমনটাই দিয়েছেন। যার কারণে কাজটাও ভালো হয়েছে। সিয়াম এখানে অভিনয় করেছে একজন সাব ইন্সপেক্টরের চরিত্রে। পুলিশ অফিসার মানেই কিন্তু সিংহাম নয়। পুলিশ অফিসার বলতে আমরা তো মারমার কাট কাট বুঝি! সিয়াম সিংহাম না হলেও একজন সাধারণ পুলিশ অফিসারের চরিত্রে দারুণ করেছে। তার চরিত্রটা আমাদের আশেপাশে দেখা কোনো এক পুলিশ অফিসার। একজন স্ট্রাগলিং মডেল হিসেবে যা যা ফেইস করতে হয় ঠিক সেরকম চরিত্রে মাহিও চমৎকার করেছে। জোভানও তার চরিত্রের সঠিক ব্যবহার করেছে। অন্যদিকে, আফরান নিশোকে দর্শকরা দেখতে পাবে নিশো’র মতো করেই। নিশোকে নিয়ে একটা কথাই বলতে চাই, নিশো ইজ ওয়ান অব দ্য ফাইনেস্ট অ্যাক্টর অব আওয়ার কান্ট্রি অর্থাৎ নিশো আমাদের দেশের অন্যতম সেরা এক অভিনেতা। বাকিটা দর্শক দেখার পরই বুঝবে। শুরু থেকেই আলোচনা হচ্ছিলো যে সিরিজটি নির্মিত হচ্ছে এক তরুণ মডেলের হত্যা তদন্ত নিয়ে। কিন্তু এটি স্বীকার করতে নারাজ নির্মাতা। তিনি বলেন, অনেকেই হয়তো সেটা মেলাতে চেষ্টা করবেন। কিন্তু এটি সম্পূর্ণই কাল্পনিক গল্প। তবে যদি বাস্তবের কোনো ঘটনার সাথে মিলে যায় তাহলে সেটা হবে কাকতালীয়।