সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান সম্মতভাবে পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো যথাসময়ে নির্বাচন হবে। অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতার পরিবর্তন চাইলে আগামী নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বিএনপি কি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন চায়? তারাতো গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের দুঃস্বপ্ন দেখেছে? তিনি বিএনপিকে আবারও হুঁশিয়ার করে বলেন, আন্দোলনের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইলে সরকার রাজপথে সমুচিত জবাব দেবে। তিনি গতকাল বুধবার (৯ জুন) সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব মন্তব্য করেন।
২০০৬ সালে ১ কোটি ২৫ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে বিএনপি গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মারতে চেয়েছিলো মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় লোককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে চেয়ে বিএনপি ওয়ান ইলেভেনের প্রধান কারণ সৃষ্টি করেছিলো। বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে বিএনপি দলীয় লোক এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে চেয়েছিলো। সেই পরিস্থিতিই বাংলাদেশে ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির মূল কারণ। আওয়ামী লীগ নাকি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে বিএনপি নেতাদের এমন নির্লজ্জ বক্তব্য শুনলে জনগণ হাসে উল্লেখ করে কাদের বলেন, হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে বিএনপিই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো।
সামরিক উর্দি পরে অস্ত্রের মুখে বিচারপতি সায়েমকে সরিয়ে কে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলো, বিএনপি নেতাদের স্মরণ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন কোন গণতন্ত্র? বিএনপির গণতন্ত্র ছিল কারফিউ গণতন্ত্র।
বিরোধী দল হিসেবে গণতন্ত্রের বিকাশে বিএনপি কী ভূমিকা রেখেছে জাতি তা জানতে চায় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সম্প্রতি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।