লকডাউনে বন্ধ সিরিয়াল। কাজ নেই হাতে। বন্ধ শুটিং। সংসার চলবে কি করে! ধীরে ধীরে মানসিক অবসাদ গ্রাস করতে শুরু করে ৩১ বছরের অভিনেতা শুভ চক্রবর্তীকে। ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন তিনি। লাইভে লেখেন আই কুইট। তারপর একের পর এক ঘুমের ওষুধ খেতে থাকেন লাইভের মধ্যেই। অভিনেতা বলেন, আমি বাঁচতে চাই না।
আমি সব ওষুধ খেয়ে নিচ্ছি। ‘মঙ্গলচ-ী’, ‘মনসা’-র মতো একাধিক বাংলা ধারাবাহিকে কাজ করেছেন শুভ। কিন্তু গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তার হাতে কাজ নেই। কোনও চ্যানেল, বা প্রযোজক তাকে ডাকেননি অভিনয়ের জন্য। গত বছর কোভিডে বাবাকে হারিয়েছেন শুভ। তারপর বাবার পেনশনের টাকাতেই বিধবা মাকে সংসার চলে তার। জীবনে ছেলে আর কিছু করতে পারবে না ভেবে কষ্ট পান মাও। শেষ পর্যন্ত অবসাদ এতটাই ঘিরে ধরে যে সুইসাইড করতে চান তিনি। ফেসবুক লাইভে এসে শুভ গিটার বাজিয়ে গান গায়। বলেন, আমার জীবনে কিছুই করার নেই। কেউ আমাকে অভিনয়ের জন্য ডাকে না। পুলিশ ফাইলে কাজ করেছি কয়েক দিন আগে। কিন্তু তা দিয়ে যাতায়াতের টাকাও হয় না। কিন্তু লোকে যে বলতো আমি খুব ভালো অভিনয় করি, তাহলে কেন কাজ পাই না। তাহলে হয়ত অভিনয়টাও জানি না। এভাবে বেঁচে থেকে কি লাভ। এই কারণেই বোধ হয় সুশান্তের মতো ছেলেরা সুইসাইড করে। এসবের মাঝেই একের পর ওষুধ খেতে থাকেন। এবং বলেন কেন তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়ে মরতে চান তার কারণ। সব শেষে ‘ও জীবন ছাইরা যাস না মোরে’ গান ধরেন তিনি। এই সময় তার ফ্রেন্ড লিস্টের একজন এই ভিডিও দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয় পুলিশ। ফেসবুক থেকে ঠিকানা বের করে শুভর বাড়ি পৌঁছে, তাকে বাঁচাতে পেরেছে পুলিশ। ওদিকে বাড়িতে শুভর এক বোনও রয়েছে বলে জানা যায়। ঘরে থাকা সত্ত্বেও তারা কিছুই টের পাননি।