হঠাৎ হলতা নদী ভাঙনে ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঘোষের হাটের দোকানসহ আটটি স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অতি বর্ষণ ও হলতা নদীর প্রচন্ড স্রোতে ঘোষের হাটের কিছু অংশ দেবে যায়। এতে মুদি দোকান, সেলুন, হার্ডওয়ার, চায়ের দোকান ও টলসেটসহ আটটি স্থাপনা পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ব্যবসায়ীদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন। ভাঙনের হুমকির মুখে ঘোষের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকাল থেকেই হলতা নদীর তীরে ঘোষের হাটে ভাঙন শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে ভাঙন বাড়তেই থাকে। এতে হাটের চায়ের দোকান, হার্ডওয়্যারের দোকান, মুদি দোকানসহ আটটি স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত রাতে বিশাল আকারে ফাটল ধরেছে নদীর তীরে এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। হলতা নদীর ভাঙনরোধ ও ক্ষতি পূরণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা। খবর শুনে কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার ভাঙনকুল পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানান, ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তারাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। অপরদিকে ঝালকাঠি সদরসহ রাজাপুর ও নলছিটিতে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর ভাঙ্গন শরু হয়েছে এতে অনেক ফসলি জমি বিলিন হয়ে অনেকগুলো ঘরবাড়ী ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক বলেন, নদী ভাঙ্গনরোধের জন্য আমরা চিটি প্রেরণ করেছে এবং যে সকল এলকায় বেরিবাধ জরুরী সেই এলাকাগুলোতে পানিউন্নায়নবোর্ডে সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।