প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক
দেশের সড়ক, মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়েগুলোর ব্যবস্থাপনায় ‘মহাসড়ক আইন, ২০২১’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একইসঙ্গে ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন, ২০২১’-এর খসড়ারও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কোন কোন সড়কে টোল আদায় করা হবে তা ‘মহাসড়ক আইন, ২০২১’- এর বিধি অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে। কোন ব্যক্তি এই আইন অমান্য করলে তাকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদ- প্রদান এবং পাঁচ হাজার টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। অন্যদিকে ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন, ২০২১’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে ১৯৮৬ সালের অর্ডিন্যান্সকে বদলে বিশেষ কোনো পরিবর্তন না করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার সকালে জাতীয় সংসদের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, দেশের সড়কগুলোর ব্যবস্থাপনায় ‘মহাসড়ক আইন, ২০২১’ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার বা সরকারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি মহাসড়ক উন্নয়ন, মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ, মহাসড়ক সংশ্লিষ্ট স্যুয়ারেজ সিস্টেম, ড্রেন, কালভার্ট, সেতু নির্মাণ ও সংস্কার করবে।’
১৯২৫ সালের হাইওয়ে অ্যাক্ট রহিত করে নতুন এই আইন করা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সরকার গেজেট দিয়ে বলে দেবে কোন সড়ক বা মহাসড়কে কে প্রবেশ করবে বা কে প্রবেশ করতে পারবে না। কোনটা মহাসড়কের সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে ঘোষণা করা হবে। পরিচালনা কেমন করা হবে। কোনগুলোতে টোল নেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সড়ক, মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়েতে বিধি অনুযায়ী টোল আদায় করা যাবে। সব সড়কেই টোল আদায় করা যাবে না। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সবগুলোতে টোল নিতে হবে। পিপিপির মাধ্যমে যে প্রজেক্টগুলো হবে সেগুলোতে টোল দিতে হবে। সেতু বিভাগ টোল ঠিক করবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মহাসড়ক নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের সময় এই কাজের জন্য নিয়োজিত ব্যক্তি ও মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে, মহাসড়ক বা সড়কের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি, অবৈধ দখল বা প্রবেশমুক্ত রাখার জন্য কী করণীয় হবে এবং সার্ভে করার জন্য মানুষের বাড়ির কতদূর পর্যন্ত যাওয়া যাবে তা আইনে বলে দেয়া আছে।’
তিনি বলেন, ‘হাইওয়ের পাশে কম গতির গাড়ি চলার জন্য আলাদা লেন রাখা হচ্ছে। বিধি অনুযায়ী নির্ধারণ করে দেয়া হবে হাইওয়েতে সিএনজি বা রিকশা উঠতে পারবে কি-না। সড়ক, মহাসড়কের ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটা এই আইনের মাধ্যমে করা হবে। দেশে হাইওয়ে রক্ষণাবেক্ষণে এতদিন আইন ছিল না। এখন সমন্বিত একটি আইন করা হচ্ছে উল্লেখ করে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,‘ এই আইন অমান্য করলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদ-, পাঁচ হাজার টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত দ- দেয়া যাবে।’
সংশোধিত সড়ক পরিবহন আইন খুব তাড়াতাড়ি মন্ত্রিসভায় আনতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
এছাড়া ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন, ২০২১’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন প্রসংগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশেষ কোনো পরিবর্তন না করে ১৯৮৬ সালের অর্ডিন্যান্সকে বদলে নতুন আইন করা হচ্ছে।