চারদিকে ছোট বড় খানাখন্দ, কোথাও বড় বড় গর্ত, আবার কোথাও সড়কের অধিকাংশ ভেঙে খালে পড়ে গেছে। এমন বেহাল দশা সীতাকু- পৌরসভার ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ড দিয়ে বয়ে চলা শহীদ নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া সড়কের। গ্রামীন এ সড়কের অধিকাংশ ভাঙা হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন এ রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টিতে কাদাপানি একাকার হয়ে বর্তমানে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সড়কের আশেপাশের বাসিন্দাদের পৌরসদরে যাতায়াতে দূরের বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে হচ্ছে। স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী, বয়োবৃদ্ধ নারী-পুরুষ ও হাসপাতালে রোগী আনা-নেওয়ায় পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ। সীতাকু- পৌরসভার ৭ ও ৯নং ওয়ার্ড হয়ে ১.৫ কিলোমিটার পশ্চিমের উত্তর ভাটেরখীল এলাকায় হাবীব রোড়ে সংযুক্ত হওয়া শহীদ নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া সড়কটি সীতাকু-ের প্রত্যন্ত গ্রাম ইউনিয়ন সৈয়দপুরের মধ্যের ধারী, শেখেরহাট, ব্রিকফিল্ড, পিছের মাথা, বশরত নগর, উত্তর শিবপুর, দক্ষিণ শিবপুরসহ প্রায় দশ গ্রামের মানুষের উপজেলা সদরে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। এ সড়ক দিয়েই সিএনজি যোগে সীতাকু- বাজারে আসা-যাওয়া করেন উপরোক্ত এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তুু প্রায় অর্ধ দশক ধরে বেহাল দশা বর্তমান রয়েছে সড়কটির। দেড় কিলোমিটার দূরত্বের সড়কটি এখন বিষফোঁড়া। স্থানীয়রা দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আলম-সফি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উত্তর ভাটেরখীল পর্যন্ত প্রায় শতাধিক স্থানে অসংখ্য ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষায় বৃষ্টির পানি ও ছরার ঢলের বালি জমে কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে সড়কটি। ফলে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এ সড়ক। শুধু তাই গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী বলে বাজারে আসা সিএনজিগুলো বিকল্প সড়কে চলছে। গাড়ি শূন্য হয়ে সড়কটির আশেপাশের বাসিন্দারা বাজারে যাতায়াতে দীর্ঘ পথ হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে এবং অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে বাড়তি ভাড়ায় রিজার্ভ গাড়ির দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। কখনো কখনো গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। সড়কটির সংস্কার দীর্ঘ দিন হচ্ছে না বলেও অভিযোগ এখানকার স্থানীয়দের। স্থানীয় বাসিন্দা শাকিল বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘ দিন বেহাল দশায় পড়ে আছে। দেখার যেন কেউ নেই। একজন রোগী নিতে হলে এ সড়ক দিয়ে যেতে যেতেও মারা যাবে। কেননা এ সড়ক দিয়ে গাড়িতে চড়লে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়বে। শিবপুর এলাকার বাসিন্দা সালাউদ্দিন বলেন, আমরা ভাটেরখীল অথবা ইদিলপুর দিয়ে ঘুরে যেতে হয়। যা সময়ের অপচয় ও বাড়তি ভাড়ার সুযোগ। এ দূর্ভোগের পরিত্রাণ চাই। সিএনজি চালক আরিফ বলেন, এ রাস্তায় গাড়ি চালানো অসম্ভব। গাড়ি চালালে চাকা নষ্ট হয়ে যায়। গাড়ির ইঞ্জিনে ব্যাঘাত ঘটে। রাস্তাটির খুবই বাজে অবস্থা। একই কথা বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা হানিফ, বিপ্লব, আবু তাহেরও। সড়কটি উন্নয়ন করা হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের মতো সহজ হবে, কমবে জনগণের ভোগান্তি। এ বিষয়ে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলে এলাহী পায়েল বলেন, সড়কটির টেন্ডার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। লকডাউনের কারণে সড়কের কাজ পিছিয়েছে। লকডাউন শেষ হলে দ্রুত সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হবে বলে আশা করি। এ বিষয়ে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জুলফিকার আলী মাসুদ শামীম বলেন, সড়কটির টেন্ডার শেষ পর্যায়ে। করোনাকালীন সংকটের কারণে সড়কের কাজ আটকে আছে। আমরা খুব দ্রুত সড়কের কাজ শুরু করব। মহামারী কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে।