রংপুরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় ১১২০ দোকান কর্মচারিকে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে তাদের হাতে এ উপহার তুলে দেন জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটি মানবিক সহায়তা প্রদানের আয়োজন করে। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, লকডাউনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর, শ্রমিক, কর্মচারিরা। সরকার করোনার শুরু থেকেই বিভিন্ন সময়ে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি ওএমএস কার্ড বিতরণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করে আসছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনও মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছে। একসঙ্গে ১১২০ কর্মচারিকে ঈদ উপহার দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য রংপুর জেলা ও মহানগর দোকান সমিতিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবে সবাইকে যার যার সামর্থ্য ও অবস্থান থেকে অসহায় মানুষের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। খাদ্যসমাগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানম, প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা, মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) মো. মহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. আলতাফ হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শাহ্ মো. আশরাফুদ্দৌলা আরজ্।ু স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহানগর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. লিটন পারভেজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও পরিচালন করেন মহানগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানবীর হোসেন আশরাফী। আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলতাফ মাহমুদ, সহ-সভাপতি বেলাল হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আলম, আশরাফুল আলম রিপন, আবু মোহাম্মদ শাহ্ নেওয়াজ শামীম, তৌহিদ হোসেন, আলমগীর হোসেন আলম, জেলা মহিলা সম্পাদিকা সুইটি আনজুম, যুগ্ম মহিলা সম্পাদিকা জান্নাতুল ফেরদৌস অশ্রু, মহানগর কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান চাঁদ, মো. এমদাদ হোসেন, সহ-সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন, রশিদুজ্জামান বুলবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খোকন, মহিলা সম্পাদিকা পারভীন আক্তার, যুগ্ম মহানগর সম্পাদিকা ফাতেমা আকতার প্রমুখ। সামাজিক দূরত্ব মেনে ১ হাজার ১২০ জন সুবিধাভোগীর হাতে হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। প্রতি প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু, খেঁজুর, চিনি, লাচ্ছা সেমাইসহ ফেস মাস্ক ও একটি করে জীবাণুনাশক সাবান রয়েছে। ঈদের আগে খাদ্য সহায়তা পেয়ে দোকান কর্মচারি শাহ্ জাহান, ছবির আহমেদ, আইনুল হক ও মোছলেমা বেগম জানান, করোনায় আমরা শেষ। লকডাউনে ঘরে থেকে থেকে ঋণের বোঝা বেড়েছে। পেট চালাতে তো কাজের বিকল্প নেই। অভাবের এ সময়ে ত্রাণ পেয়ে ভালো লাগছে। ঈদের কয়টা দিন ভালো খাওয়া যাবে। দুর্দিনে খাদ্য সহায়তা পেয়ে আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দোকান কর্মচারিরা।