অভিনেত্রীদের নিয়ে আলোচনায় এলে দর্শক নির্মাতাদের মধ্যে ঘুরে ফিরে অন্য অনেক কিংবদন্তী নাট্যাভিনেত্রীদের নামের সাথে তারিন জাহানের নামটিও বেশ শ্রদ্ধার সাথেই উচ্চারিত হয়। কারণ নাটকের গল্পে তারিন তার অভিনীত চরিত্রে এতোটাই ন্যাচারাল থাকেন, যেন সেই চরিত্রের প্রতি দর্শকের এক ধরনের বিশ্বাস তৈরী হয়, আস্থা তৈরী হয়। জন্ম নেয় ভালো লাগার, ভালোবাসার। তাই দর্শক বিশেষত নানান উৎসবে প্রিয় এই অভিনেত্রীর অভিনীত নাটকও দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। দর্শকের সেই আগ্রহের কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই জানতে পারেন তিনি। তাই প্রিয় দর্শকের কথা বিবেচনা করেই তারিন সবসময়ই চেষ্টা করেন ভালো ভালো গল্পের চরিত্রে অভিনয় করতে। এবারের ঈদও তার ব্যতিক্রম ছিলোনা। এবারের ঈদে তারিন অভিনীত যে কাজগুলো ছিলো ভীষণ প্রশংসনীয়, সে গুলো হচ্ছে তানিম রহমান অংশু পরিচালিত টিভি ফিচার ফিল্ম ‘সাহসিকা’, সোহেল হাসানের নাটক ‘অনাত্মীয় দম্পতি’, চয়নিকা চৌধুরীর ‘গৃহমায়া’ ও হাসিব আহমেদ’র টেলিভিশন শর্টফিল্ম ‘মধুচক্র’।
এরমধ্যে ‘সাহসিকা’ টিভি ফিচার ফিল্মে একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে তারিনের অনবদ্য অভিনয় বেশ প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ‘অনাত্মীয় দম্পতি’তে মোশাররফ করিমের সঙ্গেও দাম্পত্য জীবনের গল্পে তারিনের অভিনয় ছিলো মন ছুঁয়ে যাবারই মতো। একই পরিচালকের নির্দেশনায় এর আগেও তারিন মোশাররফ করিমের বিপরীতে ‘নো প্রেম নো বিয়ে’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন। এই নাটকটিও বেশ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। পাশাপাশি ‘গৃহমায়া’ এবং ‘মধুচক্র’তেও তারিনের চরিত্রানুযায়ী নান্দনিক উপস্থিতি দর্শককে মুগ্ধ করেছে। তারিন এমনই একজন অভিনেত্রী যিনি অভিনয় দিয়ে তার অভিনীত প্রত্যেকটি চরিত্রে যেমন মুগ্ধতার সৃষ্টি করেছেন ঠিক তেমনি একজন শিল্পী হিসেবেও দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সবসময় ভালো ভালো গল্পেই অভিনয় করার চেষ্টা করে আসছেন। এদিকে তারিন মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে সরকারী অনুদানের সিনেমা ‘১৯৭১ সেইসব দিন’-এ অভিনয় করছেন। এটি নির্মাণ করছেন হৃদি হক। তারিন প্রথম ১৯৮৮ সালে বাদল রহমানের পরিচালনায় শিশুতোষ সিনেমা ‘কাঠাল বুড়ির বাগান’-এ অভিনয় করেন। পরবর্তীতে তিনি সজল খালেদ (এভারেস্ট বিজয়ী কিন্তু পরবর্তীতে আর ফিরে না আসা) -এর পরিচালনায় ‘কাজলের দিনরাত্রি’ সিনেমায় অভিনয় করেন। এছাড়াও তিনি কলকাতার ‘এটা আমাদের গল্প’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এর ডাবিং-এর কাজ এখনো বাকী।