রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন

দেশের ই-কমার্স খাত এখনো স্পর্শকাতর অবস্থায়

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০২১

দেশের ই-কমার্স খাতের অভিজ্ঞরা আশংকা প্রকাশ করছেন, দেশের ই-কমার্স খাত এখনো স্পর্শকাতর অবস্থায় আছে। এর মধ্যে বিদেশি জায়ান্টরা চলে আসছে। দারাজের দরজা দিয়ে আলিবাবা ঢুকে পড়েছে। বাংলাদেশের বাজার নিয়ে কয়েক বছর ধরে কাজ করছে অ্যামাজন। সেক্ষেত্রে দেশি একটি ই-কমার্সের নামে ইভ্যালি যা করছে তাতে করে দেশি ই-কমার্স খাত আরো সংকটে পড়বে। কেউ কেউ মনে করছেন, ইভ্যালি মার্কেটে তাদের নাম ছড়িয়ে কোনো বিদেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বিশাল ফান্ড নেয়ার চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছর ধরে অনলাইন কেনাকাটার অভ্যাস গড়ে উঠছে। এজন্য ই-কমার্স সাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও গড়ে উঠেছে এফ-কমার্স। শহরকেন্দ্রীক ই-কমার্সের বিস্তার থাকলে গতবছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হলে তা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে-গঞ্জে। বড় শহরগুলোতেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান থেকে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোও বাড়তি গুরুত্ব দিতে থাকে অনলাইন বেচাকেনায়। বাংলাদেশে ই-কমার্সের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি দেখে আকৃষ্ট হয় বিশ্বখ্যাত অনলাইন কোম্পানি অ্যামাজন, আলিবাবা, ওয়ালমার্ট, টেন সেন্ট, ফ্লিপকার্ড, কিউভিসহ আরও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। চাইনিজ কোম্পানি আলিবাবা ইতোমধ্যে দারাজ ডটকমে বিনিয়োগ করেছে। ২০১৮ সাল থেকেই বাজার পর্যবেক্ষণ করছে অ্যামাজন ও ওয়ালমার্ট। কিন্তু দেশিয় কয়েকটি ই-কমার্স কোম্পানি টালমাটাল অবস্থা তৈরি করে দিয়েছে এই খাতে। যার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ইভ্যালি ও আলেশামার্টের মতো হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তাদের কারণে ই-কমার্সের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের আস্থা ফেরাতে ও মার্কেট স্থিতিশীল রাখতে নানা উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানালেও দায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে এসব করার কারণে অসহায় তারা।
জানা যায়, বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতটি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করায় ২০১৭-১৮ সাল থেকেই বিশ্বের ই-কমার্স জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বাজার পর্যবেক্ষণ শুরু করে। ওই সময় দারাজ ডটকমের সাথে বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করে অন্যতম জায়ান্ট ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবা। অ্যামাজন ও ওয়ালমার্ট বাংলাদেশে নিয়োগ করে কনসালটেন্ট। ২০২০ সালের শেষ নাগাদ অ্যামাজন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে অফিস করারও কথা ছিল। এটি হলে একদিকে যেমন দেশের ভাবমূর্তি সারাবিশ্বে উজ্জ্বল হতো, পাশাপাশি বাংলাদেশের ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য বিশ্ব বাজারে জায়গা করে নেয়ার সুযোগ পেতো। এতে শুধু দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিই নয়, সৃষ্টি হতো প্রচুর কর্মসংস্থান। বাংলাদেশের অসংখ্য পণ্য পরিচিতি পেতে বিশ্বের দরবারে। কিন্তু ই-কমার্স খাতের হাতেগোনা দু’একটি প্রতিষ্ঠানের অসদুপায় অবলম্বন, গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার কারণে এখন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে এই খাতে। সা¤প্রতিক সময়ে সম্ভাবনাময় এই খাতটিকে নষ্টের ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ও আলেশা মার্ট। এই দুই প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের অবিশ্বাস্য ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রি করছে। তবে কোম্পানিগুলোকে আগে টাকা পরিশোধ করতে হয় এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর পণ্য সরবরাহ করে। টাকা নিয়েও পণ্য সরবরাহে বারবার সময়ক্ষেপণের অভিযোগ আছে। আবার তাদের ব্যবসার কৌশলটিও স্পষ্ট নয়। এ কারণে নানা সন্দেহ-সংশয় আছে জনগণের মধ্যে। এর মধ্যেই কমার্স সাইট ইভ্যালিকে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক স¤প্রতি একটি তদন্ত চালিয়েছে; যাতে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি এক টাকা আয় করতে সাড়ে তিন টাকার বেশি ব্যয় করে। আবার তাদের সম্পদের তুলনায় দেনা ছয় গুণ। ফলে তারা এই টাকা আদৌ পরিশোধ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। এর মধ্যে তিনটি ব্যাংক তার গ্রাহকদের জানিয়ে দিয়েছে কার্ড দিয়ে ১০টি ই-কমার্স সাইটে টাকা পরিশোধ করতে পারবে না। আরও দুটি ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের সতর্ক করেছে। এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ই-কমার্স ব্যবসা নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, কোনো প্রতিষ্ঠান পণ্য পৌঁছে দেয়ার আগে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা পাবে না। ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ারও নির্দেশনা দেয়া হয় নীতিমালায়। কিন্তু এখনো সেই নীতিমালা মানছে না ইভ্যালি।
একটি জাতীয় দৈনিককে মাহদী হাসান সাজেদ নামে এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, পাঁচ মাস আগে ঈদের পণ্য অর্ডার করেছিলাম ইভ্যালিতে। ৪৫ দিনের কথা বলে ১৪৪ দিন শেষ হয়েছে কিন্তু এখনো প্রোডাক্টগুলোর কোন হদিস নেই। রোজার ঈদের জন্য ৫টি পণ্য অর্ডার করেছিলাম এখন কোরবানিও শেষ হয়ে গেছে। দুইবার অভিযোগও করেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এখন ফোনও ধরে না। পুষ্পিতা নাঈম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ইভ্যালি প্রায়োরিটি সেবা নামে ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচারণা চালালো যে, ঢাকা মেট্রোপলিটনের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ডেলিভারি দিবে। কিন্তু আমি রিয়েলমি-৮ মোবাইল গত ১১ জুলাই অর্ডার করেছি কিন্তু ২৬ জুলাই পর্যন্ত তা হাতে পায়নি। এমএম নাসিম আরাফাত বলেন, সাত মাস আগে দুইটি পণ্য অর্ডার করেছি। এখনো পণ্য হাতে না পেলেও তারা ডেলিভারি দেখাচ্ছে। বার বার যোগাযোগ করলেও বলছে সময় দেন। ৪৫ দিনে দেয়ার কথা থাকলেও সাত মাস সময় দিয়েছি। আর কত সময় দিবো?
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ই-কমার্স মার্কেটে আসার পর থেকেই ইভ্যালি পণ্যভেদে ২০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ব্যাক অফার দেয়। মূল টাকাও ফেরত পাবে আবার জিনিসও পাবে এই আশায় অনেকেই ইভ্যালিতে পণ্য অর্ডার করতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এই রকম বিজনেস মডেল বিশ্বে বিরল! কারণ চায়নায় জ্যাক মা যখন আলিবাবা শুরু করেন তখন একটা দীর্ঘ সময় সার্ভিস চার্জ নেন নি। কিন্তু প্রডাক্টের দাম গ্রহণ করেছেন।
বিজনেস মডেল হিসেবে ইভ্যালির পদ্ধতি কতোটা বাস্তব সম্মত এমন প্রশ্ন কয়েকজন বিশেষজ্ঞর জানান, এটা কোনো বিজনেস মডেল হতে পারে না। কেননা এই অফারের কারণে অনেকেই ইভ্যালিতে টাকা জমা দিচ্ছে। দুই তিন মাস পরে হয়তো কিছু সংখ্যক গ্রাহককে প্রডাক্ট দেয়া হচ্ছে কিন্তু এই সময়ের মধ্যে আরো অফার ঘোষণা করে প্রচুর টাকা তাদের কাছে চলে যাচ্ছে। এক সাথে যদি সব গ্রাহক তাদের প্রডাক্ট চায় তবে ইভ্যালি পুরোপুরি ফেল করবে। এখন যে অবস্থায় তারা দাঁড়িয়েছে। এখন হয় তারা নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করবে অথবা পালাবে। মাথায় বাড়ি পড়বে যারা সেখানে টাকা দিয়ে প্রডাক্ট কিনতে চেয়েছেন তাদের ওপর।
স¤প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে, ইভ্যালি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নিয়েও যথাসময়ে পণ্য সরবরাহ করছে না। যেসব মার্চেন্টের কাছ থেকে পণ্য নেওয়া হয়েছিল, তাদেরও অর্থ পরিশোধ করছে না ইভ্যালি। এসব কার্যকলাপের ফলে বিপুলসংখ্যক ক্রেতা এবং বিক্রেতার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৬ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দিয়েছে যে, গ্রাহকের কাছে ২১৪ কোটি এবং মার্চেন্টের কাছে ১৯০ কোটি টাকার দায় রয়েছে ইভ্যালির। এ দায়ের বিপরীতে ইভ্যালির মোট সম্পদ ৯২ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৬৫ কোটি টাকা মাত্র চলতি মূলধন।
গ্রাহকদের অভিযোগ, বাজারে বড় ধরণের অস্থিরতা তৈরির পরও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একের পর এক চিঠি চালাচালি করে নানাভাবেই তাদেরকে সুযোগ দেয়া হচ্ছে। সর্বশেষ গত ১৯ জুলাই গ্রাহক ও মার্চেন্টদের সুরক্ষা এবং ডিজিটাল কমার্স খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধের লক্ষ্যে ইভ্যালির বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ইভ্যালিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় পাশাপাশি কোম্পানিটির ব্যবসা পদ্ধতিও জানতে চেয়েছে। ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলকে নোটিশের জবাব ও ব্যবসা পদ্ধতি জানানোর সময় দেওয়া হয়েছে আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত। ইভ্যালি নিয়ে যখন অনলাইন মার্কেট তোলপাড় তখন একই সময়ে ইভ্যালির পথেই হাঁটছে নতুন আরেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্ট। প্রতিষ্ঠানটি অন্য পণ্যে ছাড় না দিলেও মোটরবাইকে দিচ্ছে অভিশাস্য ছাড়। ইভ্যালিতে যেমনি করে প্রথম দিকে ক্রেতারা পণ্য ডেলিভারি পেয়েছেন কিন্তু এখন আর পাচ্ছেন না। আলেশা মার্টেও এখন অনেকে পণ্য হাতে পাচ্ছেন। তবে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানও ইভ্যালির পথে হাঁটবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যার ছাপ পাওয়া গেছে তাদের অর্থিক তথ্যেই। আলেশা মার্ট চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যক্রম শুরুর পর ছয় মাসেই ৩৫০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। ভর্তুকির পুরোটাই দিয়েছে বড় ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রি করে। আর ছয় মাসে অন্য পণ্য বিক্রি করে ১৪০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। ফলে ছয় মাসে নিট ভর্তুকি হয়েছে ২১০ কোটি টাকা। আর পণ্য বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার।
যদিও আলেশা মার্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর আলম শিকদার বলেন, প্রথম মাসে আমাদের সেভাবে কোনো পণ্য বিক্রি হয়নি। এরপর আমরা ভর্তুকি দিয়ে মোটরসাইকেল বিক্রি শুরু করি। তবে অন্য পণ্যে ভর্তুকি দেওয়া হয়নি। এই সাত মাসে আমরা দেশের তিনটি শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের একটি হয়েছি। ইদানীং ই-কমার্স নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠছে। দেখতে একই রকম বলে মনে হতে পারে সবাই এক। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। কোনো পণ্য সরবরাহকারী টাকা পাবেন না। আমাদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদেরও কোনো অভিযোগ নেই। তিনি বলেন, আমাজন, আলিবাবাসহ বিশ্বের অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এভাবে ছাড় দেয়। বছরের পর বছর লোকসান করে। তারা এখন ই-কমার্সে শীর্ষ।
এই ধরনের অফার বা প্রডাক্ট দেখিয়ে টাকা নেয়ার ঘটনা বাংলাদেশে প্রথম নয়। এক সময় ডেসটিনি নামের সংগঠনটি ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে দুই বোতল কালোজিরার তেল ধরিয়ে দিয়েছে। ডেসটিনির সদস্য হওয়ার আনন্দে অনেকে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য গাছ কিনেছেন। একই গাছ বিক্রি হয়েছে অনেকের কাছে। ক্রেতাদের একমাত্র সান্ত¡না হলো তাদের কাছে গাছ না থাকুক, গাছ কেনার সার্টিফিকেট আছে! আর্থ ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২০০৬ সালে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছিল মূলধারার মিডিয়ায়। অনেক পরিচিতি বুদ্ধিজীবীর নাম ব্যবহার করে তারা। পরবর্তীতে আর্থ ফাউন্ডেশনের প্রতারণা ছিল আলোচিত একটি বিষয়। তাদের নির্মমতার শিকার হন বাংলাদেশের মানচিত্র প্রকাশনার পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান গ্রাফোসম্যানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোসাররফ হোসেন। কয়েক কোটি টাকার প্রকাশনা বিল বাকি রেখে তাকে ধীরে ধীরে অসুস্থ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় এই প্রতারক চক্র।
জিজিএন, যুবক, ইউনিপে টু এমন অনেক নাম প্রতারণার ডালি সাজিয়ে হাজির হয়েছে নানা সময়ে। অসংখ্য মানুষের চোখের পানি এই সময় পড়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রতারণাও এখন ডিজিটালি হচ্ছে।
সময় পেলে আগের সব অর্ডার গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দিতে পারবেন বলে দাবি করেছেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল। বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, নীতিমালা অনুযায়ি গ্রাহককে ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে হবে। অন্যত্থায় অর্থ ফেরত দিতে হবে। এটি লঙ্ঘন করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইভ্যালির বিষয়ে তিনি বলেন, গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা ফেরত বা টাকার বিপরীতে তাদের কাছে পণ্য পৌঁছানোর কী উপায় অবলম্বন করবে ইভ্যালি, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এ জন্য ইভ্যালিকে ১০ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কেউ কেউ বলেছেন, ডিজিটাল কমার্স আইন প্রণয়ন করার জন্য। এখন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে নীতিমালার আওতায়। শিগগিরই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটা বৈঠক করে এ বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com