কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকার সময় অনেক অভিভাবকই চটজলদি শিশুর হাতে ধরিয়ে দেন স্মার্টফোন। এভাবেই শিশুরা আসক্ত হয়ে পড়ে ঝলমলে পর্দার প্রতি। কিন্তু চাইলে মোবাইল ফোন ছাড়াও ব্যস্ত রাখা যায় শিশুকে।
বাইরে যাওয়া: যতটা সম্ভব খোলামেলা ও নিরিবিলি পরিবেশ পেলে শিশুকে নিয়ে একটু বাইরে বের হতেই পারেন। আপাতত যেতে পারেন ছাদে। সেখানে সাইকেল চালানো, বাগান করা, খড়ি দিয়ে ছবি আঁকা, ছবি তোলা এমন অনেক কাজেই তাকে ব্যস্ত থাকতে দিন।
ঘরের কাজ: বয়স অনুযায়ী শিশুদের কিছু ঘরের কাজ ভাগ করে দিন। বয়স খুব কম হলে তাকে ছোট ছোট কাজগুলো করতে বলুন। যারা একটু বড় হয়েছে তাদের মাঝারি মাপের কাজগুলো দিন। যেমন বিছানা গোছানো, খাওয়া শেষে নিজের প্লেট ধোয়া ইত্যাদি। এতে শিশু শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকবে। ডিজিটাল জগতে বুঁদ হয়েও থাকবে না।
ক্রাফটিং: পেইন্টিং, কাগজ কেটে বোর্ডে লাগানো, ছবি কোলাজ করা, নিজের বেডরুমের দেয়ালে কাগজ দিয়ে নকশা করা, গলার মালা, কানের দুল থেকে শুরু করে নিজের মতো করে খেলনা বানানো এসব কাজে শিশুদের উৎসাহিত করুন। তখন তারা আপনাকে ব্যস্ত দেখলে আর মোবাইলের জন্য বায়না ধরবে না। নিজে থেকেই এটা ওটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে সৃজনীশক্তিও। এক্ষেত্রে নানা জিনিসপত্র দিয়ে একটি ক্রাফটিং বাকশো বানিয়ে দিন শিশুকে।
নতুন কিছু লেখা ও পড়া: পাঠ্যবই নয়, সিলেবাসের বাইরের কোনও বই থেকেই পড়তে দিন। পাশাপাশি তাদের এটা ওটা নিয়ে লিখতে বলুন। হতে পারে সেটা একটা চিঠি কিংবা প্রিয় খেলনাগুলো সম্পর্কে তার ভাবনা। এতে শিশুর বিনোদন জগতে যোগ হবে নতুন মাত্রা। সেইসঙ্গে বাড়বে লেখালেখির দক্ষতাও।
ধাঁধা: যেকারও জন্যই ধাঁধা একটি মজার খেলা। বাগ, ফ্লাশলাইট, ডুডল কোয়েস্ট, ফায়ারফ্লাইসের মতো বোর্ডগেমগুলো খেলা যায় তাদের সঙ্গে। একাধিক শিশু থাকলে তাদের বলুন, একজন আরেকজনকে প্রশ্ন করে বোকা বানাতে পারে কিনা।
ছবির অ্যালবাম: এখন ছবি বলতে সবাই ডিজিটাল ছবিই বোঝে। তবে কিছু বিশেষ মুহূর্তের ছবি প্রিন্ট করে শিশুকেই বলুন, সে যেন তার নিজের মতো করে অ্যালবাম সাজায়। নিশ্চিত থাকুন, মোবাইলে বসে ইউটিউব দেখা বা গেইমস খেলার চেয়ে এ কাজেই সে বেশি আনন্দ পাবে। লেখিকা: সুমাইয়া আখতার