ঈদুল আজহার পরদিন মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল লঞ্চঘাট থেকে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদ মানসিক ভারসাম্যহীন এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পরপরই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজী শরিফুল হাসানকে জানানোর পর ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ উল্লাহ সরকারের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। শুক্রবার বিকেলে স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই কিশোরীকে। মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীর নাম নূর নাহার(২২)। সে নারায়ণগঞ্জ সিটির চাষাঢ়া এলাকার শাহজাহানের মেয়ে। ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান একেএম শরীফ উল্লাহ সরকার জানান, ষাটনল লঞ্চঘাট এলাকায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই মেয়েটিকে দেখতে পায় স্থানীয় এক কর্মী। এ সময় তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলেও পরিচয় জানা যায়নি। তখন বুঝতে পারেন মেয়েটির স্মৃতিভ্রম হয়েছে। কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে। একেএম শরীফ উল্লাহ সরকার জানান, খবর পেয়ে ওই দিনই ইউনিয়ন পরিষদে গ্রামপুলিশের সহায়তায় নিয়ে যান। তিনি মেয়েটিকে উদ্ধার করে ইউএনও’র সঙ্গে কথা বলে গ্রামপুলিশের হেফাজতে নেন। এরপর বিভিন্ন স্থানে মেসেজ দেওয়ার পাশাপাশি মেয়েটির সন্ধান চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। বুধবার মেয়েটি তার নাম নূর নাহার বলে জানান। তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ নিয়ে গেলে সে বাসায় যেতে পারবেন। এরপর থেকেই নারায়ণগঞ্জে কর্মরত সংবাদকর্মী জুয়েলের সহায়তায় ওই কিশোরীর স্বজনের খোঁজ পাওয়া যায়। মেয়েটির স্বজনরা ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে তাকে স্বজনদের কাছে তুলে দেন মতলব উত্তর ইউএনও গাজী শরিফুল হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল, সেনা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান, ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান একেএম শরীফ উল্লাহ সরকার, মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের সভাপতি বোরহান উদ্দিন ডালিম, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির প্রমুখ। মেয়েটির বাবা শাহজাহান জানান, ঈদের দুদিন আগে মানসিক ভারসাম্যহীন নূর নাহার বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি। মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন ও ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তাকে উদ্ধার না করলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারতো। মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজী শরিফুল হাসান জানান, তিনি মানবিক কারণেই মেয়েটিকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। লঞ্চঘাটে সে খারাপ লোকের খপ্পড়ে পড়লে তার বড় ক্ষতি পারতো।