করোনা বর্তমান বিশ্বের এক আতঙ্কের নাম। এ মহামারি ভাইরাস সারা বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ৩৮ লাখ ২২ হাজার ১ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ২২ লাখ ৫৫ হাজার ২০৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছে অনেক মানুষ। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের মধ্যে ১৩ লাখ ১ হাজার ৭৩৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এর হিসেব অনুযায়ী, করোনাভাইরাসজনিত (কোভিড-১৯) রোগ থেকে চীনের মূল ভূখণ্ডে সেরে উঠেছে ৭৭ হাজার ৯৫৭ জন। যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ১২ হাজার ৯৮১ জন, স্পেনে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৫৯ জন, ইতালিতে ৯৩ হাজার ২৪৫ জন, ইরানে ৮১ হাজার ৫৮৭ জন এবং ফ্রান্সে ৫৩ হাজার ৯৭২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। ইউরোপের দেশ জার্মানিতে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ জন মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এ ছাড়া তুরস্কে ৭৮ হাজার ২০২, ব্রাজিলে ৫১ হাজার ৩৭০, সুইজারল্যান্ডে ২৫ হাজার ৭০০ জন, কানাডায় ২৮ হাজার ১৭১, অস্ট্রিয়ায় ১৩ হাজার ৬৩৯, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৯ হাজার ৪১৯, বেলজিয়ামে ১২ হাজার ৭৩১ ও অস্ট্রেলিয়ায় ৬ হাজার ৪০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।
এদিকে আক্রান্তের দিক থেকে ইতালি, স্পেন, চীনকে পেছনে ফেলে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ১২ লাখ ৬৩ হাজার ৯২ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে এই ভাইরাসে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৪ হাজার ৭৯৯ জন।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে একটি সামুদ্রিক বাজার থেকে করোনাভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তা চীনের সীমান্ত পেরিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম হয়ে অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইতালি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন এই ভাইরাসে মূলত ফুসফুসে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এমআর/প্রিন্স