করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আগামী ১১ আগস্ট থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী কোনো নাগরিক টিকা নেয়া ছাড়া বাইরে বের হলে শাস্তির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বুধবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে টিকা না নিয়ে বাইরে বের হলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’ মন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল যে বৈঠক হয়েছে, মূলত বেশিরভাগ অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন। আমিও অনলাইনে সংযুক্ত ছিলাম। সেখানে আসলে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকার এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি যে ১৮ এর বেশি বয়সের কেউ টিকা না নিয়ে বের হলে, তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে।’
তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত যেটি হয়েছে, মাস্ক পরার ওপর বেশি জোর দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি যাতে সবাই মানে, সেটির ওপরও জোর দেয়া হয়েছে। মাস্ক না পরলে যাতে ইন্সট্যান্টলি (তাৎক্ষণিক) শাস্তি দেয়া যায়, সেজন্য পুলিশের কাছে এ ধরনের…। অবশ্য বিচারিক ক্ষমতা নয় কিন্তু পুলিশ যেমন রাস্তায় যানবাহনকে জরিমানা করে, আইনের মধ্যে থেকে কীভাবে সেটা করা যায়, সে বিষয়ে সবাই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।’ আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘যারা ১১ তারিখের পর মুভ করবে, ভ্যাকসিন ছাড়া ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কোনো লোক, শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কোনো ব্যক্তি যদি রাস্তাঘাট, গাড়িতে, মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেলে, টেম্পু বা বাসে বা ট্রেনে হোক, নো বডি অ্যালাউ টু মুভ, তাদেরকে অবশ্যই ভ্যাকসিননেটেড হতে হবে।’
এরপর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, ‘টিকা নেয়া ছাড়া ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ বাইরে বের হতে পারবে না’ বলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে সংবাদ প্রচার হচ্ছে, তা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নয়। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাবনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোথাও দেয়া বা নেয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।’
এ ঘটনায় সমন্বয়হীনতার অভাব ছিল কি-না, জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি কারো ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। কিন্তু এ ধরনের সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’