টিকা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম) বলেছেন, ‘টিকা না নেয়া ১৮ বছরের বেশি বয়সীরা বের হলেই নেয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, গতকাল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর এমন ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মাথায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বিবৃতি দিয়েছে। অপরিকল্পিত, অদূরদর্শী ও সমন্বয়হীনতার কারণে বারবার এমন ঘটনা ঘটছে।’ তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীদের বক্তব্যে বিভ্রান্ত হচ্ছেন দেশবাসী। একই সঙ্গে সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছেন সাধারণ মানুষ।’ গতকাল বুধবার (৪ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জাপা চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘১১ আগস্ট থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স অথচ টিকা নেয়নি এমন কেউ বাইরে বের হলেই নেয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।সরকারের এমন সিদ্ধান্ত শুধু অযৌক্তিক, অবাস্তব ও গ্রহণযোগ্য নয়, এটি পুরোপুরি হাস্যকর। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক কীভাবে এমন সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে জানান তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন না।’ জিএম কাদের বলেন, ‘বর্তমান বাস্তবতায় দেশে দুই ডোজ টিকা নেয়া মানুষের সংখ্যা এক কোটির নিচে। কোভিড টাক্সফোর্সের রিপোর্ট অনুযায়ী টিকা কর্মসূচিতে বিশ্বের পিছিয়েপড়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে টিকা কর্মসূচিতে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। সারাবিশ্ব যখন টিকা দিয়ে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করছে, মনে হচ্ছে তখন টিকা দিতে ব্যর্থতার দায় এড়াতে উল্টাপাল্টা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স সীমা ২৫ বছর নির্ধারিত। সেক্ষেত্রে কীভাবে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী গার্মেন্টস শ্রমিক কারখানায় যাবে? এই বয়সের গণপরিবহনের শ্রমিক কীভাবে কাজে বের হবে? অথবা এই বয়সী দোকানি কীভাবে দোকান খুলবে?’