‘গ্রীনলেডী’ পেঁপে চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্যে লাভের আশায় দিন গুনছে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় রাজারামপুর গ্রামের আলতাফ হোসেন প্রধান। সে ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মরহুম তালিম উদ্দিন প্রধানের পুত্র। প্রথম বছরই চলতি মৌসুমে ১লাখ টাকা খরচ মিটিয়ে ৫০ হাজার টাকা লাভের মুখ দেখেন।
পেঁপে চাষ করার ব্যাপারে তিনি জানান, পীরগঞ্জ শাহ্ আব্দুর রউফ কলেজের প্রভাষক সোহেল রানা গত বছর পেঁপে কেনার জন্য বাজারে গিয়ে ৪০ টাকা কেজি দরে কিনে মানসিকভাবে পেঁপে চাষ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইউটিউবে ভিডিও দেখে ভালো জাতের চারার সন্ধানে নামলে মিঠাপুকুর উপজেলার নাসিফ নার্সারী থেকে ৩৩০টি চারা কিনে কৃষি বিভাগের সহায়তা ছাড়াই নার্সারী মালিকের পরামর্শে ৩০ শতক জমিতে জৈব সার ছয় মণ, প্রয়োজনীয় টিএসপি, পটাশ, ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে ওই বছরেই নভেম্বর মাসে আলু রোপণ করে ৫ফিট দূরত্ব বজায় রেখে এবং এক সারি থেকে অন্য সারির দূরত্ব ৭ ফিট বজায় রেখে ৩৩০ টি পেপে চারা রোপণ করা হয়। এছাড়াও জমির চারপাশে মিশ্র ফসল হিসেবে মরিচ ঢেঁরস, চিচিঙ্গা, ওল রোপণ করে পরিচর্যা শুরু করে। এরই মধ্যে পেঁপে গাছে আশাতীত ফুল দেখা দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের খেজমতপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামছুজ্জামানের পরামর্শক্রমে মাসে দুইদিন করে ছত্রাক নাশক ওষুধ স্প্রে করেন। বর্তমানে পেঁপের ওজনে গাছ ভেঙ্গে পড়ার আশংকা করছেন কৃষক। তিন বছরের ফসলে প্রথম বছরই সব খরচ মিটিয়ে ৫০ হাজার টাকা লাভের মুখ দেখেছেন পেঁপে চাষি আলতাফ। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান বলেন পেঁপে চাষি আলতাফ হোসেনকে উপসহকরী কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে পরামর্শ দিয়ে আসছি।