শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৯ অপরাহ্ন

শরীয়তপুরে নির্মাণের ৬ মাসেই স্কুল ভবনের ছাদ চুইয়ে পড়ছে পানি

আবুল হোসেন সরদার শরীয়তপুর :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১২ আগস্ট, ২০২১

শরীয়তপুর সদর উপজেলার সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের খায়েরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের দোতলার কাজ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে ভিম কলামসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ছে। মেঝেতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা। নির্মাণ কাজে ত্রুটি থাকার কথা স্বীকার করেছেন এলজিইডি সদর উপজেলা প্রকৌশলী। সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের খায়েরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ও স্থানীয় বাসিন্দা জসিম খান জানান, খায়েরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। ৬৪ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪৮ টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ কাজটি করে আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। চারতলা ভবনটির দোতলার নির্মাণ কাজ ২০২০ সালে শেষ হয়। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কারণে ভবনের ভিম-কলামসহ বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। ফ্লোরে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলেই ছাদ দিয়ে শ্রেণীকক্ষে পানি পড়ে। দরজা, জানালাসহ বিভিন্ন জায়গায় ত্রুটি রয়েছে ভবনটিতে। অধিকাংশ দরজা-জানালা বন্ধ করা যায় না। দরজায় নিম্নমানের কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। ফ্যান ও বৈদ্যুতিক তার নিম্মমানের, ফ্যানের কোনটিতেই রেগুলেটর দেয়া হয়নি। যে কোন সময় ভবনটি ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা। খায়েরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র সিহাব উদ্দিন বলেন, বৃষ্টি নামলেই আমাদের স্কুলের ভেতরে পানি পড়ে। আমাদের বসতে সমস্যা হয়। স্কুলের মাটি বিক্রি করে দেয়ার কারণে মাঠ নিচু হয়ে গেছে। আমরা খেলতে পারি না। সহকারী শিক্ষক নাজমা ও জিয়াসমিন আক্তার বলেন, স্কুল ভবনের পূর্ব পাশের কক্ষটির কলাম ও ফ্লোরে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি হলেই ছাদ দিয়ে চুইয়ে পানি পড়ে। স্কুল ভবন ফাটল ধরার বিষয়টি অস্বীকার করে আংগারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, আমরা স্কুল ভবন নির্মাণ করে তা হস্তান্তর করেছি। কে বা কারা অভিযোগ করেছে কাজটি সঠিক হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীকে কাজ কোথায় বাকি তা দেখিয়ে দিতে বলেছি। তারা আজকাল করে কালক্ষেপণ করছেন। এ জন্য আমি বিষয়টি সমাধান করতে পারছি না। কিছু জায়গায় ঢালাইয়ে শ্রমিকদের ভুলের কারণে নিচু হয়েছে। এতে সামান্য পানি পড়তে পারে। সে জায়গায় কিছু কাজ করে দেব। শরীয়তপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী কে এম রেজাউল করিম বলেন, আমরা স্কুল ভবন নির্মাণ কাজে কিছু ত্রুটি পেয়েছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সমাধান করে দিতে বলেছি। তারা এখনও সমাধান করে দেয়নি। তাই আমরা তাদের চূড়ান্ত বিল আটকে রেখেছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com