ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার জিএমহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ভূইয়াপাড়া এলাকার প্রায় ৩০ পরিবারকে পানি বন্দি করে রেখেছে ওইখানকার এক স্থানীয় প্রভাবশালী পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আবুল কালাম ও হাবিবুল্লাহ সহ একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের পূর্ব পুরুষদের স্থাপিত এই বসতবাড়িতে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছে। কয়েক বছর আগে প্রতিবেশী ইউসুফ ও আইয়ুব’রা তাদের ভাই পুলিশের উপ পরিদর্শক পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক ভাবে সরকারি ড্রেন মাটি দিয়ে ভরাট করে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ফলে এখানকার বসবাসরত প্রায় আড়াই শতাধিক ব্যক্তিদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে এখানকার পরিবারগুলোর চলাচলের রাস্তাগুলো যেন পুকুরে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও আটকাপড়া পানিতে ডেঙ্গু মশা জন্ম নিয়ে মারাত্মক রোগ ব্যাধি সৃষ্টি করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই দুর্ভোগ থেকে লাগব পেতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান হোসেন বলেন, ইতিপূর্বে এই ড্রেন সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক, ইউপি সদস্য সহ মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে একাধিকবার সালিশী বৈঠক বসে। বৈঠকে বন্ধ করে দেয়া ড্রেনটি উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য বারবার তাগিদ দেয়া হলেও অজানা কারণে এখনো কোনো সমাধান হয়নি। অভিযোগের কারণ জানতে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আইয়ুবকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সকল প্রকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা সরকারি ড্রেন বন্ধ করে রাখেনি বরং অভিযোগকারীরা আমাদের ব্যবহৃত পুকুরে তাদের ময়লা আবর্জনা ফেলে পুকুরটি ব্যবহারের অনুপযোগী করে ফেলেছে। তারা যদি আমাদের পুকুরটিতে তাদের ময়লা-আবর্জনার লাইন তুলে নেয় তাহলে আমি আমার বাড়ির পাশ দিয়ে তাদের পানি নিষ্কাশনের রাস্তা করে দেব। এতে আমার কোন আপত্তি থাকবেনা। জিএমহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুল হক মুঠোফোনে জানান, আমরা সমস্যাটি পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছি, এই সমস্যাটি অতি দ্রুত সমাধান হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। এই বিষয়ে ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল আলিম মজুমদার বলেন, সমস্যাটি সমাধান করার লক্ষ্যে আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশনা প্রদান করেছি। আশা করি এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।